সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত করা হবেই: রেলমন্ত্রী

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥ রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের দখলকৃত জমিসহ রেলের কোয়ার্টার বা বাংলো থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবেই। রেলওয়ের উন্নয়নের জন্যই এটা করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এগুলো  শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ রবিবার সকালে পঞ্চগড়ের তিন দিন সফর শেষে ঢাকায় যাওয়ার পথে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী।

সৈয়দপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ৮০০ একর জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৩০০ একর জমি জবরদখল হয়ে আছে। অভিযোগ যারা অবৈধ দখলদার তারা সকলে কোটিপতি ও গাড়ী বাড়ির মালিক।রেলমন্ত্রী বলেন, বারবার উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দেওয়া হলেও তা বারবারই থমকে যায়। কিন্তু এবার কোনোভাবেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হবে না। যেকোনো মূল্যে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ করা হবেই। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের টালবাহানার সুযোগ নেই। যাঁরা রেলওয়ের জমি বা কোয়ার্টার দখল বা বিক্রির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। রেলওয়ের স¤পদ কারও ব্যক্তিগত স¤পদ নয়। এটা জনগণের, তথা রাষ্ট্রের স¤পদ। তাই এ স¤পদ কুক্ষিগত করে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চাইলে তাঁদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।রেলমন্ত্রী আরও বলেন, এবার উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার ফলে যাঁরা দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল করে আছেন, তাঁরা নতুন করে এ জায়গা ইজারা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। যাঁরা অবৈধভাবে আছেন, তাঁদের আবেদনের সুযোগ আছে। দালালমুক্ত হয়ে তাঁরা আবেদন করলে সরকার তা ভেবে দেখবে।তবে উচ্ছেদের যে বিষয়টি এসেছে, তা অবশ্যই করা হবে। রেলওয়ের উন্নয়নের প্রয়োজনেই এমনটা করা হচ্ছে। মন্ত্রী সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানার বেহাল স¤পর্কে বলেন, অচিরেই কারখানাটি সংস্কার করা হবে। নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় দেড় শ কোটি টাকার মেশিনপত্র আধুনিকায়নের মাধ্যমে কারখানাটি নতুন করে সচল করা হবে।এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-১ আসনের সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার, আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলার সাধারণ স¤পাদক ও সৈয়দপুরের সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গতঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে দখলদার বসবাসকারীদের উচ্ছেদে দ্বিতীয় দফা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই গণবিজ্ঞপ্তি জারী করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় ভূস¤পত্তি কর্মকর্তা। একই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে চালানো হচ্ছে মাইকিং যোগে ব্যাপক প্রচারনা। এতে উচ্ছেদের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে চলতি বছরের আগামী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সৈয়দপুর রেলের ষ্ট্যান্ডার্ড পাকিস্তানি ক্যা¤প, পৌরসভার সাথে বিরোধপূর্ণ ভূমি ও রেলের বৈধ বরাদ্দকৃত স্থাপনা ব্যতিত মিস্ত্রিপাড়া হইতে আদর্শ কলেজ রাস্তার দুইপাশে,গোলাহাট, মুন্সীপাড়া,নিয়ামতপুর,অফিসার্স কলোনী,দারুল উলুম মাদ্রসা মোড়,রেলষ্টেশন এর আশে পাশের এলাকা জড়িপ করে রেলে জায়গার অবৈধ দখলস্থান লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই অবৈধ দখলকারীদের নিজ উদ্যোগে মালামালসহ সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়।
এদিকে রেলে জায়গা অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ অভিযান রুখতে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করেছে সৈয়দপুরের কিছু প্রভাবশালী। অধিকার কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও বাস্তহারা কমিটির নেতৃত্বে দিচ্ছেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দপুর বিএনপির সাধারন স¤পাদক আমজাদ হোসেন সরকার। তারা উচ্ছেদ নয় লিজ চাই দাবি নিয়ে ইতো মধ্যে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে।এর আগে রেলওয়ের ভূস¤পত্তি বিভাগ রেলওয়ের জমিতে বসবাসকারী উচ্ছেদে চলতি বছরের গত ১৬ এপ্রিল প্রথম দফায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সে সময় পাড়া-মহল্লায় জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে।এর প্রায় ৪ মাস পর দ্বিতীয় দফা লাল নোটিশে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে উচ্ছেদ অভিযানের তারিখ আগামী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করা হয়। তবে যে সকল স্থাপনার বৈধ লিজ প্রদান করা আছে এবং রেলভূমির মালিকানা স্বত্ব নিয়ে মামলা চলমান আছে তাদেরকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভূস¤পত্তি দপ্তরের মতামত গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 712100250224587781

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item