সৈয়দপুরে রেলের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দ্বিতীয় দফা ‘গণবিজ্ঞপ্তি’

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে দখলদার বসবাসকারীদের উচ্ছেদে দ্বিতীয় দফা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই গণবিজ্ঞপ্তি জারী করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় ভূস¤পত্তি কর্মকর্তা। একই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে চালানো হচ্ছে মাইকিং যোগে ব্যাপক প্রচারনা। এতে দ্বিতীয় দফা গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও উচ্ছেদের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর।
গলবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সৈয়দপুর রেলের ষ্ট্যান্ডার্ড পাকিস্তানি ক্যাম্প, পৌরসভার সাথে বিরোধপূর্ণ ভূমি ও রেলের বৈধ বরাদ্দকৃত স্থাপনা ব্যতিত মিস্ত্রিপাড়া হইতে আদর্শ কলেজ রাস্তার দুইপাশে,গোলাহাট, মুন্সীপাড়া,নিয়ামতপুর,অফিসার্স কলোনী,দারুল উলুম মাদ্রসা মোড়,রেলষ্টেশন এর আশে পাশের এলাকা জড়িপ করে রেলে জায়গার অবৈধ দখলস্থান লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই অবৈধ দখলকারীদের নিজ উদ্যোগে মালামালসহ সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়।

এদিকে রেলে জায়গা অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ অভিযান রুখতে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করেছে। অধিকার কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান  মোখছেদুল মোমিন ও বাস্তহারা কমিটির নেতৃত্বে দিচ্ছেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দপুর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার। এ নিয়ে সৈয়দপুরে চলছে টান টান উত্তেজনা।
এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করে জানায় রেলের জমি অবৈধভাবে যারা দখল করে রয়েছে তারা  সবাই কোটিপতি এবং গাড়িবাড়ির মালিক। তারা রেলের জমি অবৈধ দখলে রাখার উদ্দেশ্যে কিছু গরীবঅসহায় মানুষকে ঢাল বানিয়ে নাটক করে ফায়দা লুটার পায়তারা করছে।
এদিকে  রবিবার(১ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান রুখতে মানববন্ধন করেছে শহরের কয়ামিস্ত্রিপাড়া এলাকাবাসী। দুপুরে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন  পারুল বেগম, মুন্নি বেগম, রুবী আক্তার, আরমান আলী, মুক্তি বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন আমরা বাস্তহারা, রেলওয়ের জায়গা ছেড়ে দিলে থাকবো কোথায় তারা দেশের ভূমি আইন অনুযায়ী রেলে জায়গা তাদের নামে বরাদ্দ দেয়ার দাবি তোলে।

জানা যায়,সৈয়দপুর শহরের সিংহভাগ জমি রেলওয়ের অধীনস্থ। রেলওয়ে সুত্র মতে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ের ৮০০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে পতিত জমিতে বিপুলসংখ্যক লোক বসবাস করেন। এদের মধ্যে বৈধ ও অবৈধ বসবাসকারীও রয়েছেন। এর আগে রেলওয়ের ভূস¤পত্তি বিভাগ রেলওয়ের জমিতে বসবাসকারী উচ্ছেদে গত ১৬ এপ্রিল প্রথম দফায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তি মতে বৈধ ও অবৈধ স্থাপনার হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে তারা। সে সময় পাড়া-মহল্লায় জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা 'লাল' কালি দিয়ে চিহ্নিত করে।
এর প্রায় ৪ মাস পর দ্বিতীয় দফা লাল নোটিশে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। একই সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযানের তারিখ আগামী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করা হয়। তবে যে সকল স্থাপনার বৈধ লিজ প্রদান করা আছে এবং রেলভূমির মালিকানা স্বত্ব নিয়ে মামলা চলমান আছে তাদেরকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভূস¤পত্তি দপ্তরের মতামত গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।এই সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের রেলের জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে রেলবিভাগ।
ফলে বর্তমানে এ উচ্ছেদ অভিযান শহরে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। উচ্ছেদ বন্ধে শহরে প্রতিবাদসভা সমাবেশ হয়েছে এবং উচ্ছেদবিরোধী সংগঠনগুলো উচ্ছেদ বন্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সংগঠনগুলো রেলের জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ না করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধনসহ শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6162821030775593806

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item