টানা বর্ষণে চরম বিপাকে ঠাকুরগাঁওয়ের আলু চাষিরা
https://www.obolokon24.com/2019/09/potato.html
আব্দুল আউয়াল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
দুই দিনের টানা বর্ষণের ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের আগাম জাতের আলু চাষিরা। জমিতে লাগানো আলুর ফসল পচে যাওয়াসহ সঠিক সময়ে ঘরে থাকা চোখ গজানো আলু জমিতে লাগানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এমন টানা বর্ষণ আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকলে জমিতে লাগানো আলু পচে গিয়ে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আলু চাষিদের।
আগাম আলু চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুরু থেকে আগাম জাতের আলু ক্ষেতে লাগানো শুরু হয়। ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে খরা মৌসুম দেখে এ জমিগুলোতে চাষ, জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে প্রস্তুত করে রাখা হয়। আলু লাগানোর ১৫ দিনের মধ্যে জমিতে বৃষ্টি না হলেই আলু চারা গজিয়ে ওঠা শুরু করে। মাটির নিচের আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
কিন্তু চলতি বছরের আশ্বিন মাসের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক চাষিই প্রস্তুতকৃত জমিতে লাগিয়েছেন হাইব্রিড জাতের আলু। আলু চারা গজে না ওঠার আগেই গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে অনেক আলু ক্ষেতের আলু মাটির নিচে পচে যাওয়া শুরু করেছে। ক্ষেতে আলু পচে গেলে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কায় বেশি দেখছে কৃষক।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৪২ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হবে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম জাতের আলু চাষে বেশ মুনাফা পাবে কৃষক। তাছাড়া আগাম জাতের আলু তোলার পর সেই জমিতে দেশি জাতের চালু চাষ করা যাবে। এতে প্রস্তুতকৃত জমিতে অল্প সার এবং চাষাবাদ খরচ কম লাগবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আলু চাষি সফিকুল ইসলাম বলেন, আট বস্তা আলু হিমাগার থেকে জমিতে রোপণের জন্য বাসায় চোখ গজানোর জন্য রেখেছি ১৫ দিন হলো। গত সপ্তাহে আবহাওয়া খরা থাকায় জমিগুলো চাষাবাদ এবং সার প্রয়োগ করে প্রস্তুত করেছিলাম। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন শ্রমিককে বলেও রেখেছি আলু লাগানোর জন্য। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমিতে আবার পানি জমে শক্ত হয়ে গেছে। ফের চাষাবাদ করতে খরচতো লাগবেই।
এ দিকে, সময়মতো আলু জমিতে লাগাতে না পারলে বাড়িতে থাকা আলু গুলোর চোখ কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাফীয়ার রহমান বলেন, অনেক আলু চাষি আগাম জাতের আলু কেটে রোপণ করে। এতে করে বৃষ্টি হলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়। আলু চোখ বড় করে, আলু বড় হলেও না কেটে এবং দুপাশের মাটি দিয়ে আলু রোপণ করলে ক্ষতির আশঙ্কা খুব থাকে। উপসহকারী কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি তেমন কোন ক্ষতি সম্মুখীন হবে না আলু চাষিদের।
দুই দিনের টানা বর্ষণের ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের আগাম জাতের আলু চাষিরা। জমিতে লাগানো আলুর ফসল পচে যাওয়াসহ সঠিক সময়ে ঘরে থাকা চোখ গজানো আলু জমিতে লাগানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এমন টানা বর্ষণ আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকলে জমিতে লাগানো আলু পচে গিয়ে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আলু চাষিদের।
আগাম আলু চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুরু থেকে আগাম জাতের আলু ক্ষেতে লাগানো শুরু হয়। ভাদ্র মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে খরা মৌসুম দেখে এ জমিগুলোতে চাষ, জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে প্রস্তুত করে রাখা হয়। আলু লাগানোর ১৫ দিনের মধ্যে জমিতে বৃষ্টি না হলেই আলু চারা গজিয়ে ওঠা শুরু করে। মাটির নিচের আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
কিন্তু চলতি বছরের আশ্বিন মাসের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অনেক চাষিই প্রস্তুতকৃত জমিতে লাগিয়েছেন হাইব্রিড জাতের আলু। আলু চারা গজে না ওঠার আগেই গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে অনেক আলু ক্ষেতের আলু মাটির নিচে পচে যাওয়া শুরু করেছে। ক্ষেতে আলু পচে গেলে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কায় বেশি দেখছে কৃষক।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৪২ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হবে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম জাতের আলু চাষে বেশ মুনাফা পাবে কৃষক। তাছাড়া আগাম জাতের আলু তোলার পর সেই জমিতে দেশি জাতের চালু চাষ করা যাবে। এতে প্রস্তুতকৃত জমিতে অল্প সার এবং চাষাবাদ খরচ কম লাগবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আলু চাষি সফিকুল ইসলাম বলেন, আট বস্তা আলু হিমাগার থেকে জমিতে রোপণের জন্য বাসায় চোখ গজানোর জন্য রেখেছি ১৫ দিন হলো। গত সপ্তাহে আবহাওয়া খরা থাকায় জমিগুলো চাষাবাদ এবং সার প্রয়োগ করে প্রস্তুত করেছিলাম। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন শ্রমিককে বলেও রেখেছি আলু লাগানোর জন্য। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমিতে আবার পানি জমে শক্ত হয়ে গেছে। ফের চাষাবাদ করতে খরচতো লাগবেই।
এ দিকে, সময়মতো আলু জমিতে লাগাতে না পারলে বাড়িতে থাকা আলু গুলোর চোখ কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাফীয়ার রহমান বলেন, অনেক আলু চাষি আগাম জাতের আলু কেটে রোপণ করে। এতে করে বৃষ্টি হলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়। আলু চোখ বড় করে, আলু বড় হলেও না কেটে এবং দুপাশের মাটি দিয়ে আলু রোপণ করলে ক্ষতির আশঙ্কা খুব থাকে। উপসহকারী কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি তেমন কোন ক্ষতি সম্মুখীন হবে না আলু চাষিদের।