নীলফামারীর গ্রামে জুয়ায় হেরে ও ঋণের দায়ে আত্নহত্যা করেছে দুইজন
https://www.obolokon24.com/2019/09/nilphamari_4.html
জানা যায়, ডিমলার পূর্বছাতনাই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামিম এলাকায় ভ্যান চালাতো। তার বাবা ঢাকায় রিক্সা চালায়। এক বছর আগে শামীম বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের ফরমান আলীর মেয়ে ফেন্সি বেগমকে। ক্রিকেট জুয়া থেকে লুডু খেলা ও তিন তাসের জুয়া খেলার নেশায় বিভোর ছিল শামীম। সারা দিনের ভ্যান চালানো কামাই সে জুয়া খেলে হেরে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতো। মা ছমিরন সহ স্ত্রী তাকে বার বার জুয়া খেলতে বারন করার কারনে শামীম তা কর্ণপাত না করে স্ত্রীকে মারধর করতো। এমন কি সে ঘটনার আগের দিন স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনার দিন গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত লুডু জুয়া খেলে টাকা হেরে বাড়ি ফিরে আসে। বুধবার সকালে এলাকাবাসী শামীমের বাড়ির পেছনে একটি কাঠাল গাছে দঁড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস অবস্থায় ঝুলতে দেখে।এ ঘটনায় ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সকাল গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে প্রেরন করে ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে জানা যায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন বাহাগিলি কাছারীপাড়া গ্রামে মৃত গঙ্গা হাজারীর ছেলে মানিক হাজারী (৫০)। সে এলাকার কায়িক শ্রমিক। তার ছেলে ভ্যান চালক মিথুন হাজারী (২৩) জানায় তার বোনের বিয়ের সময় বাবা বিভিন্নজনের কাছে টাকা হাওলাদ করেছিল। কিন্তু কিছু টাকা পরিশোধ করা হলেও প্রায় ৫০ হাজার টাকা আমরা পরিশোধ করতে পারছিলাম না। ফলে পাওয়ানাদারে চাপ ছিল। এ নিয়ে তার বাবা ছিল চিন্তিত। এ অবস্থায় বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পেছনে একটি কড়াই গাছে বাবা গলায় দড়িয়ে আতœহত্যা করেছে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশীদ জানান ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। #