ফিল্মি স্টাইলে ডোমারে অপহরন ও হত্যার হাত হতে রক্ষা পেল যুবক ,উদ্ধার হলো পিস্তল

আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি/আনিছুর রহমান মানিক-
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার খাটুারিয়া সড়কের খালেক মেম্বারের মোড়ের দিকে এক যুবক দৌড়ে একটি মুদি দোকানের সামনে আসে। এ সময় সে ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিল না।  হাফাতে হাফাতে আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এমন ঘটনায় এলাকার লোকজন মোবাইলে খবর দেয় ডোমার থানা পুলিশকে। এলাকাবাসী কিছু দুরে দুই যুবককে দেখতে পায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। তারা এসেই পিস্তল বের করে মাটিতে পড়ে থাকা যুবককে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালানোর সময়ের মধ্যে ওসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় এক রাউন্ড গুলি ছোড়ার সময় হাত ফোসকে মাটিতে পড়ে যাওয়া পিস্তলটি ফেলেই পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক।  এতে অপহরন ও হত্যার হাত হতে রক্ষা পায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের ভিআইপি বিজনেস সেন্টারের ম্যানেজার সাহাদৎ রুহানী (৩৩)। তিনি ওই উপজেলার কালিগঞ্জ কলেজপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।  পুলিশ তাকে সেখান হতে উদ্ধার ও দেশীয় তৈরী পিস্তলটি জব্দ করে ডোমার থানায় নেয়। ফিল্মি স্ট্যাটাইলের এ ঘটনাটি ওই এলাকার মানুষজন সহ উক্ত সাহাদৎ রুহানী জানায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উৎসব জনতা ডোমার থানায় ভিড় করতে থাকে।

জানা যায়, উক্ত সাহাদৎ রুহানীর বিজনেস সেন্টারে কর্মরত ছিল দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের সবুজপাড়া মহল্লার মমিনুর রহমানের স্ত্রী রুমী আক্তার। এক বছর আগে রুমী আক্তার চাকুরী ছেড়ে দিলেও মাঝে মাঝে মোবাইলে ধর্মভাই হিসাবে সাহাদৎ রুহানীর সঙ্গে কথা বলতো। যা রুমী বেগমের স্বামী সহ্য করতে পারতো না।

সাহাদৎ রুহানী জানান, রবিবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল যোগে দেবীগঞ্জ থেকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বসুনিয়ার হাট এলাকায় আসছিলেন পথে রুমী আক্তারের স্বামী সহ দুই জন তাকে আটক করে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেয়। এরপর অজ্ঞাত যুবক মোটরসাইকেলের চালকের আসনে বসে। মাঝখানে তাকে বসিয়ে পেছনে রুমী আক্তারের স্বামী মমিনুর রহমান বসে। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতে থাকে। যখন মোটরসাইকেলটি ডোমারের খাটুরিয়া পথে আসে তখন সে মোটরসাইকেলের চালকের হাতে নিজ হাত দিয়ে দুইটি আঘাত করে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মোটরসাইখের সহ তারা তিনজনই রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে। সেখান থেকে সে দৌড়ে পালিয়ে চলে আসে খাটুরিয়ার খালেক মেম্বারের মোড়ে। এরপর সে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহায়তায় রক্ষা পায়। তিনি বলেন ওরা আমাকে অপহরন করতে পারলে হত্যা করতো। কিন্তু ওরা আমাকে অপহরন করতে ব্যর্থ হলেও আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাহাদাৎ রুহানী বাদী হয়ে অপহরনে চেস্টার মামলা করেছে। অপরটি পুলিশ বাদী হয়ে আগ্নেঅস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। উভয় মামলায় আসামী দেবীগঞ্জের ওই দুই যুবক। তাদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7548333304189914445

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item