সৈয়দপুরে জ্বীন তাড়ানোর নামে ইমাম কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
 নীলফামারীর সৈয়দপুরের পল্লীতে জ্বীন তাড়ানোর নামে মসজিদের ইমাম কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ২ নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের আরাজি কিসামত হুগলীপাড়ায় এ ঘটনায় গত ১১ আগষ্ট রাতে সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। গত ৩ আগষ্ট ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মো. সাকিব (৩০) নামের ইমামের বিরুদ্ধে ওই ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
 মামলা আরজিতে উল্লেখ করা হয়, রংপুর কোতয়ালি থানাধীন জানপুর এলাকার মৃত. মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. সাকিব (৩০)। সে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের আরাজি কিমাসত হুগলীপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিল। ওই গ্রামের জনৈক মো. লুৎফর রহমানের বাড়িতে থেকে মসজিদে ইমামতি করতো সে। পাশাপাশি সে ওই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এক বেলা করে খাবার খেয়ে বাড়ির শিশু আরবী (ধর্মীয়) শিক্ষা দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন গত ৩ আগষ্ট ইমাম মো. সাকিব গ্রামের  এক বাড়িতে যায়। এ সময় গৃহকর্তার হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ের ওপর  কুনজর পড়ে মসজিদের ইমাম মো. সাকিবের। এ সময় ওই মেয়ের ওপর জ্বীনের আছড় রয়েছে বলে তাঁর বাবা-মাকে জানায় সে (ইমাম)। আর তাঁর শরীরে ভর করা জ্বীনের তাড়াতে  হবে। তাকে একাকি ঘরের মধ্যে নিয়ে ঝাঁড়ফুক করতে হবে এবং সে ওই ঝাঁড়ফুক করেন বলে স্কুল ছাত্রীর বাবা-মাকে জানায়। তাঁর এমন কথায় স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাতে সম্মতি দেয়। এ সময় ইমাম লোকজনকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির একটি পাকা শোয়ার রুমের মধ্যে ঝাঁড়ফুকের নামে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিন্তু এ ঘটনাটি স্কুল পড়–য়া ওই ছাত্রী লোকলজ্জায় ভয়ে ওই দিন আর পরিবারের  সদস্যদের কাউকে জানায়নি। এরপর গেল ১০ আগস্ট ইমাম আবারো ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি এসে ঝাঁড়ফুকের নামে ঘরের মধ্যে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন দ্রুত ছুঁটে যান। এ সময় স্কুল ছাত্রী  পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে  গ্রামের লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে ইমামকে ধরে বেদম মারপিট করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ইমামকে আটক করে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইমাম মো. সাকিবের বিরুদ্ধে গত ১১ আগষ্ট সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের
করেন। পুলিশ ওই দিনই ধর্ষক  ইমাম সাকিবকে গ্রেপ্তার করে নীলফামারী কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা  নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। এছাড়াও ওই দিনই স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসনাত খান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2473652195179659681

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item