পীরগাছায় পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছায় ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদাররা।
সরেজমিনে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৬টি হাটে গরু-ছাগল পাওয়া যায়। এসব হাট প্রতি বছর ১ বৈশাখ উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে পাওটানার হাট, দেবীচৌধুরাণী হাট, অন্নদানগর হাট ও দেউতির হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু পাওয়া যায়। বেচা বিক্রিও অনেক। পছন্দের পশু কেনা-বেচার জন্য এবারো হাটগুলো জমে উঠেছে। কিন্তু বাঁধ সেজেসে ইজারাদাররা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছেন তারা। একই সঙ্গে দিতে হচ্ছে দ্বিমুখী টোল। একটি গরু বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট দু‘শ টাকা ও ক্রেতার নিকট পাঁচশ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও একটি ছাগল বিক্রি হলে বিক্রেতার নিকট ১৫০ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে দু‘শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
ফলে ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করেন, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে গরুর হাটে টোল আদায়ের তালিকা না টাঙিয়ে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন ইজারাদাররা। বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেই এসব হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ব্যবসায়ী তাজরুল ইসলাম বলেন, পীরগাছা উপজেলার হাটগুলোতে প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ইজারাদাররা ইচ্ছামত পশুর হাটে চাঁদা আদায় করছেন। ফলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
দেবী চৌধুরাণীর হাটে গরু ক্রয় করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত চাঁদার চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি চাঁদা ক্রেতা বিক্রেতাদের নিকট থেকে ইজারাদাররা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, হাটের চার্ট অনুযায়ী টোল আদায় করার কথা। চার্টের বাইরে টোল আদায়ের সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8862873166460498912

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item