কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় দুই যুগ থেকে অপারেশন বন্ধ
https://www.obolokon24.com/2019/08/kisargang_28.html
ধুলোবালি পরে ও মরিচা ধরে নষ্ট হতে বসেছে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃনীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে সার্জারি ও অ্যানেসথেশিয়া এবং গাইনী ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বন্ধ রয়েছে। সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যায়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে ২ টি স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা জনগনের কোন কাজে আসছেনা।
দীর্ঘদিন যাবৎ অযন্ত অবহেলায় পড়ে থাকার কারনে অপারেশন থিয়েটারের এ্যানেসথেসিয়া মেশিন সহ অন্যন্য সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে বসেছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায় করে আনা এক্য্ররে মেশিনটি অকেজো হয়ে পরে রয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ কোন নজর দিচ্ছেনা। ফলে নষ্ট হতে বসেছে সরকারের লাখ লাখ টাকার সম্পদ।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার জনসাধারনের চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষে ১৯৮২ সালে প্রথমে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতাল তৈরী করা হয়। এ হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি অপারেশন থিয়েটার তৈরী করা হয়। হাসপাতাল তৈরীর প্রথম দিকে কিছু সময় অপরেশন থিয়েটার চালু থাকলেও গত ২৪ বছর থেকে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে। এরপর গত ২০১৩ সালে হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। ৫০ শয্যায় নতুন করে পোষ্ট অপারেটিভ রুমসহ ৫ টি অত্যাধুনিক রুম তৈরী করা হয়। এবং সেইসাথে হাসপাতালটিতে অপারেশন চালু করার লক্ষে একটি এ্যানেসথেসিয়াসহ অন্যন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার এবং যন্ত্রপাতি থাকার পরেও শুধুমাত্র সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনী কনসালটেন্ট না থাকার কারনে যুগের পর যুগ ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে মরিচা ধরে ধুলোবালি পরে নষ্ট হতে বসেছে সরকারের লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী বলেন, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে নতুন করে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। সেই সাথে অপারেশন করার জন্য সার্জারি, এ্যানেসথেসিয়া ও গাইনী ডাক্তার দরকার কিন্তু এখানে ওই তিনটি পোষ্ট ফাঁকা। এছাড়াও অপারেশন রুমে আরো কিছু জিনিসের সংকট রয়েছে।