পঞ্চগড়ে মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলীর প্রতারনায় ৩৭ জনের হজ পালন হল না

সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে প্রতারক। টাকা উদ্ধারসহ প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার (৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩৭ জন ব্যক্তি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট এলাকার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী শাহার চাচা ও মৃত ফজর আলী শাহার পুত্রের ওয়াছেদ আলী শাহা নামে এক মোয়াল্লেমের কাছে হজে যাওয়ার জন্য টাকা দেন। ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে তাদের প্রাক নিবন্ধন করা হয়। কিন্তু হজের দুই মাস আগে থেকে ওয়াছেদ আলী শাহা তাদের সঙ্গে টালবাহানা শুরু করে। কুমিল্লার লাকসাম এলাকার আব্দুল জলিল নামে একজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ওয়াছেদ আলী শাহা কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে।ভুক্তভোগীরা জানান, মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী শাহা ও কুমিল্লার লাকসাম এলাকার আব্দুল জলিল তাদের এটিএম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড ও সানফ্লাওয়ার এয়ার লিংকার্সসহ বিভিন্ন হজ এজেন্সির নামে ২থেকে ৩ লাখ টাকা নেয়। হজে যেতে না পেরে তারা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য ওয়াছেদ আলী শাহার বাসায় একাধিকবার যান। কিন্তু প্রায় সময় তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি।প্রতারক ওয়াছেদ আলী শাহা কে বাসায় খুঁজতে গেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী শাহা ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখায়।  নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীরা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ধামেরঘাট এলাকার দারাজ উদ্দিন বলেন, ‘হজে যাবো সবাইকে বলেছি। টাকাও দিয়েছি ২ লাখ। কিন্তু হজে যেতে পারলাম না।পঞ্চগড় শহরের সুগারমিল এলাকার বাসিন্দা তছলিম উদ্দিন বলেন, মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী শাহা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাদের কারও কারও কাছে ২ লাখ আবার কারও কারও কাছে ৩ লাখেরও বেশি টাকা নিয়েছে। জমি, গরু-ছাগলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে আমরা এই টাকা দিয়েছি। কিন্তু হজে যেতে পারিনি। আমরা প্রতারকদের শাস্তি দাবি করছি।তেঁতুলিয়া উপজেলার বসির আলম বলেন, আমার কাছে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। জুন মাসে ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। পরে আবার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানালো।পরে ঢাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আমাদের নামে কোনও টাকাই জমা হয়নি। তারপর থেকে ওয়াছেদ আলী শাহাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।এদিকে ৩৭ জন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হজের নিবন্ধন না হওয়ায় সরকারি ভাবে তাদের সহযোগিতার কোনও সুযোগ নেই। তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। 

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 1214089241781551668

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item