নীলফামারী জেলার তিন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা ১৬

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী॥ নীলফামারীতে  ১৬জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে । তারা সকলে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। আজ শনিবার (৩ আগষ্ট)  সদর আধুনিক হাসপাতাল, সৈয়দপুর  ও ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  আরো চার ডেঙ্গু রোগি ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে  জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭) সকাল ১১টার দিকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের হরিদাস রায় (৩০), জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দলুয়া গ্রামের সুজন রায়সহ (১৬) তিনজন শনিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগির সংখ্যা সাত জন।
অপর চার জনের মধ্যে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫) ও জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫), জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ রায় (২৮)। তাকে ৩১ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরজন জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম (২৪) চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে ৩১ জুলাই বাড়িতে ফিরেছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৫ জুলাই থেকে শনিবার (৩ আগষ্ট) সকাল পর্যন্ত সাতজন ডেঙ্গু রোগি হাসপাতালে আসে।
অপর দিকে জেলার সৈয়দপুর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ৭ জন। এদের শনিবার ভর্তি হয় সৈয়দপুর পৌরসভার কর্মচারী কয়ানিজপাড়া মহল্লার বাসিন্দা কাজী আসাদুজ্জামান মিঠু। তিনি পৌর সভার বেতন সরকারী করনের আন্দোলনে ঢাকায় ছিলেন। ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ফিরে হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়। অপরজন রোগী হলো সৈয়দপুর ইসলামবাগ মহল্লার সোহেল খান(২২)। এ ছাড়া শুক্রবার ভর্তি হয় শহরের কয়ানিজপাড়ার মেহেবুব হাসান(২০),নতুন বাবুপাড়ার কাবিরা ইয়াসমিন(২০) ও উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া পাড়ার শামীম আহমেদ(২৫)। বাকী ৩ জন গত তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তরা সকলেই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এসেছে। এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের গড়ধর্মপাল গ্রামের সাহাবুল ইসলাম (২২)।
সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, এ  পর্যন্ত ১৬জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে জেলায়। তারা সকলে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। তিনি বলেন, আবাসন সমস্যা ছাড়া হাসপাতালে রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোন সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা (মেডিকেল টিম) মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ্বর হলে সরকারী হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  # 

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 272602045850257882

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item