নীলফামারীতে জমি নিয়ে বিরোধে ঘরে আগুন॥ মা ও মেয়ে বেধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের বড় এলকমারী গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে আগুনে দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আনোয়ার হোসেন (২৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আনোয়ারকে  শনিবার (৬ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়। অপর দিকে প্রতিপক্ষের নির্যাতনে আহত মা ও মেয়ে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা হলেন নৃপেন্দ্র নাথ রায়ের স্ত্রী রঞ্জনা রাণী রায়(৪৮) ও তাদের অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে নীপা রাণী রায়।
এলাকাবাসী জানায়, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়ির ভিটার সঙ্গে ৩০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন নৃপেন্দ্র নাথ ও তার তিন ভাই। সম্প্রতিকালে ওই জমিটি পাশ্ববর্তী চড়াইখোলা ইউনিয়নের দালালের বাজার গ্রামের মজিবর রহমান ক্রয়সূত্রে দাবি করে করায় উভয়পক্ষের মধ্যে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে।
মজিবরের দায়ের করা একটি মামলায় বুধবার (৩ জুলাই) আদালত জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন  নামঞ্জুর করলে পুলিশ নৃপেনকে কারাগারে পাঠায়।
এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালের দিকে মজিবর রহমানের লোকজন ওই জমি দখল নিতে গেলে বাধা দেয় দেন নৃপেনের পরিবারের সদস্যরা। এসময় নিপেনের স্ত্রী রঞ্জনা ও তার মেয়ে নীপাকে মারধর ও বিদ্যুতের খুঁটিতে বেধে রেখে তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মজিবরের লোকজন।
খবর পেয়ে, পুলিশ এসে নিপেনের স্ত্রী ও মেয়েকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উত্তরা ইপিজেডের দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর মা মেয়ে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
ঘটনায় দিন সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় নৃপেনের বড়ভাই সুনীল রায়(৫৫) সদর থানায় মজিবর সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই মামলায় নামীয় আসামী মজিবরের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নৃপেনের স্ত্রী রঞ্জনা রাণী রায় বলেন, মজিবরের লোকজন আমাকে ও আমার মেয়েকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে যৌন হয়রানিসহ বেধরক মারধর করে। পরে আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসীর খবরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নেভায়। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8922863495123563251

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item