কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত লো ভোল্টেজ ও লোডশেডিংয়ের কারনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

 মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঘনঘন লোডশেডিংয়ের  কারনে লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সকাল হতে না হতেই সুর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে তাপদাহ রীতিমতো অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে  বিদ্যুতের লোডশেডিং  প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুত আসা যাওয়া করে আবার কখোনো কখোনো ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা।
 কিশোরগঞ্জ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড(নেসকো) বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের  আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬ হাজার ৫শ ৮ জন। এই পরিমান গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২ মেগাওয়াট।  চাহিদা অনুযায়ী  নেসকো কোম্পানী থেকে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের পরও  বিদ্যুতের লোডশেংডিং মানুষকে অতিষ্ট করে তুলছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারী পাইলট বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুত সম্পন্ন উপজেলা ঘোষনা করা হয়েছে। এবং সে অনুযায়ী আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন ঘন্টা লোডশেডিং হওয়ার কারনে ব্যবসাযীরা সহ  অনেকে ক্ষতির স¤œক্ষিন হচ্ছে।
স্পপন মেডিসিন কণার্নের মালিক এবং স্থানীয় এমপির প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় লোডশেডিং তেমন একটা হয়না কিন্তু রাতের বেলা লোডশেডিং হওয়ার কারনে দোকান করতে অনেক সমস্যা হয়। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত কয়েকদিন থেকে  যে লোডশেডিং  হচ্ছে সেটা সহনীয় পর্যায়ে কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে অতিরিক্ত লো ভোল্টেজের কারনে কাজ করতে সমস্যা হয়। আমার অফিসে লো ভোল্টজের কারনে কাজ বন্ধ থাকে।
কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ আলআমিন হোসাইন বলেন, গত দু সপ্তাহ ধরে এ উপজেলায় কোন লোডশেডিং হচ্ছেনা। অনেক সময় ম্যাইনটেনেন্সের কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। তিনি আরো বলেন, বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি সেক্ষেতে একটু লোডশেডিং হয় এবং ভোল্টেজ আপ ডাউন করে।