কিশোরগঞ্জে এলজিএসপি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁদখানা, কিশোরগঞ্জ ও নিতাই ইউনিয়নে  লোকাল গর্ভণ্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি)-৩  প্রকল্প  বাস্তবায়নে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী এক নম্বর  ইট ও এক নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা থাকলে তা না করে প্রকল্প সভাপতিগণ নি¤œমাণের ইট দিয়ে কাজ করার ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
লোকাল গর্ভণ্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের ওয়েবসাইট সুত্রে এবং ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের কাছ থেকে জানা গেছে,এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে লোকাল গভণ্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি ) ৩ প্রকল্পের আওতায়  স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য  ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁদখানা ইউনিয়নের ১২ টি প্রকল্পে ২৬ লাখ ৫০ হাজার ১০৪ টাকা, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১৯ টি প্রকল্পে ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫১৬ টাকা এবং নিতাই ইউনিয়নের ১৬ টি প্রকল্পে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬ শত টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,  কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মুশা মৌজার কাশেমের বাজার পাকা রাস্তা হইতে পুর্ব দিকে আজিজের বাড়ি পর্যন্ত ১১৮ পয়েন্ট ৫শ মিটার সড়কের সিসি ঢালাইয়ের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। গত দুই মাস আগে সড়কটির কাজ  সম্পন্ন করা হয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকল্প এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তাহাবুল ইসলাম, তনছের আলী, জাহেদুল ইসলাম, নাসিমা বেগম, আব্দুর রাজ্জাক সহ সকলেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা জেনেছি সড়টির সিসি ঢালাইয়ে লোহার রট,সিমেন্ট ও এক নম্বর ইট সড়কের উপর এনে খোয়া করে তা দিয়ে ঢালাই করার কথা। কিন্তু সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বাহির থেকে নি¤œমানের খোয়া এনে এবং রট ছাড়াই সড়কটির   ঢালাই সম্পন্ন করেছেন। বাকি অংশটুকুর কাজ অন্য ব্যাক্তি করেছেন তবে তিনি রট সহ ঢালাই সম্পন্ন করেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৩৬ ফিট প্রাচির নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদুজ্জামান কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রাচীর নির্মাণের জন্য নি¤œমানের তিন নম্বর ইট এবং সালটু ইটের খোয়া নিয়ে এসে কাজ শুরু করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী  নীলফামারী জেলার এলজিএসপি প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলেটেটর আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জানালে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও প্রকল্প সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, আমার অজান্তে ভাটার মালিক নি¤œমানের ইট দিয়েছে ।
নিতাই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়ালপুকুর মাষ্টারপাড়া আনোয়ারের বাড়ি হতে গেল্লুর বাড়ি পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য অবশিষ্ট ড্রেন নির্মান প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। ওই প্রকল্পে গিয়ে কাজের কোন অস্তিত্ব খঁজে পাওয়া যায়নি।
নিতাই ইউনিয়নের সচিব আবু সুফিয়ানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই নিতাই ইউনিয়নে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, তবে এখানো কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পত্রিকায় লিখতে বারন করেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, দু একটি প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতিগন নি¤œমানের ইট এনে কাজ করার খবর পেয়ে  জেলা ফ্যাসিলেটেটর আবু হেনা মোস্তফা কামালের নির্দেশে ওই সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। 
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, ওই রাস্তায় এলজিএসপির যে প্রকল্প রয়েছে সেখানে রাস্তাটির ঢালাইয়ে কোন রড ধরা নেই। বাকি অংশটুকুর ২১ মিটার এডিপি প্রকল্পের হওয়ায় ওই অংশটুকু ঠিকাদার রড দিয়ে ঢালাই করেছে।
এলজিএসপি প্রকল্পের নীলফামারী জেলা ফ্যাসিলেটেটর আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, চাঁদখানা এবং নিতাই ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্পে নি¤œমানের ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে জানতে পেরে   তাৎক্ষনিক স্ব স্ব ইউনিয়ন সচিব এবং সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এবং সেই সাথে খারাপ ইট বাদ দিয়ে ভাল ইট এনে প্রকল্পের কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8671041633034731165

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item