গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। যমুনা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে শহর রক্ষাবাঁধ, হুমকির মুখে পরেছে। ইতোমধ্যে খোলাহাটী ইউনিয়নে সোনাইল নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গোদারহাটসহ আরও কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ- গাইবান্ধা সড়কে ব্রীজ দিবে যাওয়ায় এ রুটে যোগাযোগ বৃচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া, ট্রেন যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, জেলা শহরে ঘাঘট নদীর পানি প্রবেশ করতে থাকায় জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজের বাসভবন, পিকে বিশ্বাস রোড, স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, সান্তার পট্টি রোড, টেনিস কমপ্লেক্স, ডেভিড কোম্পানীপাড়া, ভিএইড রোড, মুন্সিপাড়া, ব্রীজ রোড কুটিপাড়া, পূর্বপাড়া, সবুজপাড়া, পুরাতন বাজার, বানিয়ারজান, পুলিশ লাইন, নশরৎপুর, বোয়ালীসহ আশেপাশের এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ত্রিমোহিনী স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুরের সাথে ঢাকাগামি রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, বুধবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১শ’ ৪৬ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি ৯০ সে.মি. বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে, তিস্তার পানি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে গৃহ- পালিত পশু পাখি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘাঘট নদীর পানির তোড়ে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা সড়কে হাঁটু পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানায়, এবারের বন্যায় সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ২শ’ ৩০টি গ্রামের ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগস্থ হয়েছে ২৯ হাজার ২শ’ ৩০টি। বন্যা কবলিত মানুষের আশ্রয়ের জন্য ১শ’ ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছে ৪২ হাজার ১শ’ ০২ জন। বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট সব ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে কাঁচা রাস্তা ৯২ কি.মি., ৬টি কালভার্ট ও ৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগস্থ হয়েছে। এদিকে, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ১ হাজার ২শ’ ৪৬ হেক্টর জমির ফসল হানি ঘটেছে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ বন্যার্ত পরিবারগুলোর জন্য বন্যা কবলিত ৪ উপজেলায় জেলা ত্রাণ ভান্ডার থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার মে. চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১০ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার। বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপÍ ত্রাণ সামগ্রীহ ও গৃহ পালিত পশু পাখির খাদ্য না থাকায় অতি কষ্টে দিনাপাত করছেন। 

পুরোনো সংবাদ

গাইবান্ধা 1037376806902521105

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item