সেবা না পেয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী এ্যম্বুলেন্স ভাংচুর।

মেহেদী হাসান উজ্জল ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা না পেয়ে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৮টায় সড়ক দুর্ঘটনার এক গুরুতর আহত রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারী এ্যাম্বুলেন্সের চালককে না পেয়ে, এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় ওই আহত রোগীর স্বজনেরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধা সাত টায় ফুলবাড়ী-রংপুর মহাসড়কের ভাগলপুর বাজার নামক স্থানে দুই মটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটর সাইকেল চালক ফুলবাড়ী থানার গাড়ি চালক কনস্টবেল সিদ্দিকুর রহমান রাজু (৫৫) ও সিদ্দিকুর রহমান রাজুর স্ত্রী কামরুন্নাহার পারুল (৪০)  এবং অপর মটর সাইকেল চালক মাদিলাহাট চিন্তামন গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মিজান (২৮) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার এনায়েতুল্যা নাজিম,মটর সাইকেল আরোহী সিদ্দিকুর রহমান রাজু ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার পারুলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।, অপর মটরসাইকেল চালক মিজানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মটর ইকেল চালক মিজানের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায়, তার স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে, এসময় মিজানকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে লেখা চালকের নাম্বারে বারবার ফোন দিয়েও, চালককে না পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহযোগীতা চায়, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কর্নপাত না করেনি,আহত রোগী মিজানের পরিবারকে কোন সহযোগীতা না করায়, আহত রোগীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাড়িয়ে থানা সরকারী এ্যাম্বুলেন্সটির দুপার্শের গ্লাস ভাংচুর করে এবং একটি বে-সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে নিয়ে যায়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, এ্যাম্বুরেন্স চালক আব্দুল্লাহ বলেন, এ্যাম্বুলেন্সে যে মোবাইল নম্বরটি দেয়া আছে তা পুর্বের চালকের, সে কারনে তাকে কেউ ফোন করেনি।

এই বিষয়ে মেডিকেল অফিসার এনায়েতুল্যা নাজিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ব্যাপার তিনি জানাবেন। তিনি কোন কথা বলতে পারবেনা বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুরল ইসলাম বলেন, এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের ঘটনাটি একটি অনাকাংখিত ঘটনা, ভবিষ্যতে যাতে এইরুপ ঘটনার পুনারাবৃত্তি না ঘটে, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এদিকে কথা বলার জন্য আহত রোগীর স্বজনদের খোজ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 5562797091429962274

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item