তিস্তার রুদ্রমূর্তি ধারন।। ডিমলায় পানিসম্পদ সচিবের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন

মর্তুজা ইসলাম- অব্যাহত  ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।  আজ রবিবার সকাল ৬টা হতে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় পর থেকে পানি কমতে শুরু করে বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রাত ৯টায় ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানায় নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র। ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।

এদিকে গতকাল দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে বন্যাকবলিত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাউবো রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রষাদ ঘোষ, নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহিনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাঈন, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার মুন, সহকারী কমিশনার ভুমি নুর-ই আলম সিদ্দিকী, অফিসার ইনচার্জ শেখ মফিজ উদ্দীন ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান প্রমুখ। এসময় তিনি উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পুর্ব ছাতনাই ছাতুনামা চরে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন করেন।

এর আগে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আজহারুল ইসলাম ও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার মুন তিস্তার বাধে আশ্রিত বানভাসীদের খোজখবর নিয়ে তাদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহিনুর আলম বলেন ডিমলা উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৫০ মেট্রিকটন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর আগে ৫০ মেট্রিকটন চাল, ৫০ হাজার টাকা ও ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

এ ছাড়াও ৫০০ মেট্রিন টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের জন্য আরো চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকার আন্তরিক। জেলা প্রশাসন সবসময় ত্রান ও উদ্ধার কার্যে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। এজন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফোন নাম্বার ০৫৫১ - ৬১৪০৬, মোবাইল - ০১৭৫১৪৬৮৯৮৩ ও ০১৭১২৭৯৭০১১।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা অববাহিকায় হলুদ সংকেত জারী অব্যাহত রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6832629307324537985

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item