চিলাহাটিতে রেল লাইনের দুই ধারের বন বিভাগের গাছ উধাও। ১০টি শিশুগাছ উদ্ধার

এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি প্রতিনিধিঃ নীলফামারী  জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটির রেল স্টেশন থেকে মুক্তিরহাট ডাঙ্গাপাড়া ভারতীয় সীমান্ত প্রায় ৭কি.মি. রেল  লাইনের কাজ নতুন ভাবে শুরু হচ্ছে।এ কারনে রেললাইনের কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোম্পানি ম্যাক্স রেল লাইনের দুই পাশের বিভিন্ন ধরনের বড় বড় গাছপালা কেটে প্রকৃত মালিকদের নিয়ে যাওয়া নির্দেশ প্রদান করেন । সেই সুযোগে এক শ্রেণির প্রভাব শালী ব্যক্তি প্রকাশে বন বিভাগের প্রায় শতাধিক বড় বড় গাছ রাতের আধাঁরে কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । জানা গেছে, ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেল স্টেশন থেকে ভারতীয় হলদীবাড়ি রেল স্টেশন পযন্ত দেশ স্বাধীনের পূর্বে রেল যোগাযোগ সচল ছিল । ১৯৬৫ সালে চিলাহাটি- হলদীবাড়ি রেল যোগাযোগটি বন্ধ হয়ে গেলে, কিছু ব্যক্তি সেই রেল পথের জায়গাগুলো দখল করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রেখে বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি সহ গাছপালা গড়ে তুলে । সেই সময় চিলাহাটির গোসাইগঞ্জ বন বিভাগ পরিত্যাক্ত রেল লাইনের দুই পাশে প্রায় ৭কি.মি. জায়গায়  শিশু গাছ রোপন করেন ।নতুনকওে রেললাইনের কাজের সুযোগে বন বিভাগের বড় বড় শিশুগাছ গুলো রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যায় এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি। কোনো প্রকারে বাধা প্রদান না করায় সেই গাছ কাটার দলটি প্রকাশ্য দিবালোকে শনিবার(২৭শে জুলাই) ১০টি বন বিভাগের বড় বড় শিশু গাছ কেটে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরা পড়ে । পরে গোসাইগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনা স্থানে এসে, শিশু গাছের ৩৫টি লক উদ্ধার করে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য লক্ষাধিক টাকা। এ ব্যাপারে উক্ত বন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, এই গাছ চুরির সাথে ১৭ জন জড়িত। মামলার স্বার্থে তিনি আসামিদের নাম প্রকাশ্যে জানাতে অস্বীকৃতি জানান। যারা যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে । তবে বন বিভাগের এখনো প্রায় ৩০টি বড় বড় শিশু গাছ এই রেল লাইনের পাশে আছে। সেগুলো যেন কেউ কাটতে না পারে সে দিকে দৃষ্টি রাখা হয়েছে । অপরদিকে, বন বিভাগের উপকারভোগী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল, মোজাহারুল, আজাহার,রঘুনাথ, মোনাথ, আব্বাস আলী, হামিদুল, আশরাফ ও মফিজুল বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল এই গাছ চুরির সঙ্গে জড়িত। এই গাছ রোপনের পূর্বে বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে আমরা উপকারভোগী সদস্যরা গাছ বিক্রির সময় মূলধনের ৬০%, বন বিভাগ ১০%, রেল লাইনের পাশে গাছ রোপন হলে রেল কতৃপক্ষ ২০% ও ইউনিয়ন পরিষদ ১০% পেয়ে থাকে। অথচ এক মাসে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ চুরি হয়ে গেছে। মামলা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8663830308482110422

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item