পীরগাছায় নদী ভাঙনে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছেই, জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস।
https://www.obolokon24.com/2019/07/blog-post_31.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)ঃ
রংপুরের পীরগাছায় প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছেই। এক সময়ের গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রমত্তা তিস্তার করাল গ্রাসে আজ ভূমিহীন। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করায় এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের গাবুড়ার চর, শিবদেব চর, কিশামত ছাওলা, পূর্ব হাগুরিয়া হাশিম, ছাওলা, চর কাশিম, চর তাম্বুলপুর ও চর রহমত প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ছে। ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে এসব গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে বসতবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার।
শুধু বাসস্থান নয়, তাদের কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। দিন মজুরি করে তারা কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেক পরিবার ১০-১৫ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক অন্যের জমিতে বসবাস করছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন ও বন্যায় সহায়-সম্বলহারা অসহায় মানুষ ঠিকানা বিহীন গন্তব্যে ছুটে চলছেন। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
নতুন কোনও আশ্রয়স্থল না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে ভূমিহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভূমিহীন অনেক পরিবার পাশের গ্রামের বিত্তবানদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক জমি নিয়ে বসবাসের স্বপ্ন দেখছে। গড়ে একটি পরিবারের বসবাসের জন্য ৫-৬ শতাংশ জমির প্রয়োজন। ফলে প্রতিবছর ভাড়া বাবদ তাদের দিতে হবে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। তবে যাদের চুক্তিভিত্তিক জমি নেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে অনেক পরিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভাসমান মানুষের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।
এদিকে, গত সাত দিনে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের গাবুরার চর, রামসিং, চর হরিরাম গ্রামে নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারের ভাঙনে প্রায় একশ হেক্টর ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পাওটানা বাজারের পাশে আশ্রয় নেওয়া বাবু মিয়া, মজিদ আলী ও আকবর আলীসহ কয়েকজন জানান, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা। এখন দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।
স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এত সংখ্যক পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ৪০ জন পরিবারের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। আরও ৬০ জন ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।#
রংপুরের পীরগাছায় প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছেই। এক সময়ের গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রমত্তা তিস্তার করাল গ্রাসে আজ ভূমিহীন। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করায় এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের গাবুড়ার চর, শিবদেব চর, কিশামত ছাওলা, পূর্ব হাগুরিয়া হাশিম, ছাওলা, চর কাশিম, চর তাম্বুলপুর ও চর রহমত প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ছে। ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে এসব গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সাথে বসতবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার।
শুধু বাসস্থান নয়, তাদের কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের ভালো কোনও ব্যবস্থা নেই। দিন মজুরি করে তারা কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেক পরিবার ১০-১৫ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক অন্যের জমিতে বসবাস করছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন ও বন্যায় সহায়-সম্বলহারা অসহায় মানুষ ঠিকানা বিহীন গন্তব্যে ছুটে চলছেন। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
নতুন কোনও আশ্রয়স্থল না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে ভূমিহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভূমিহীন অনেক পরিবার পাশের গ্রামের বিত্তবানদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক জমি নিয়ে বসবাসের স্বপ্ন দেখছে। গড়ে একটি পরিবারের বসবাসের জন্য ৫-৬ শতাংশ জমির প্রয়োজন। ফলে প্রতিবছর ভাড়া বাবদ তাদের দিতে হবে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। তবে যাদের চুক্তিভিত্তিক জমি নেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে অনেক পরিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ভাসমান মানুষের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।
এদিকে, গত সাত দিনে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের গাবুরার চর, রামসিং, চর হরিরাম গ্রামে নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারের ভাঙনে প্রায় একশ হেক্টর ফসলি জমি ও দুই শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পাওটানা বাজারের পাশে আশ্রয় নেওয়া বাবু মিয়া, মজিদ আলী ও আকবর আলীসহ কয়েকজন জানান, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তারা। এখন দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।
স্থানীয় ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এত সংখ্যক পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ৪০ জন পরিবারের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। আরও ৬০ জন ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।#