নীলফামারীতে ফিটিংস মিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা বিচারের দাবীতে সড়ক অবরোধ॥ গ্রেফতার দুই
https://www.obolokon24.com/2019/06/nilphamari_23.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২২ জুন॥ বাথরুমের ফিটিংস এর কাজ করে না দেয়ায় জুয়েল রানা(২৩) নামে এক মিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মারধোরের শিকার অপর মিস্ত্রি জুয়েলের ছোট ভাই মানিক হোসেন(২০) রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত জুয়েল নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ পুর্বপাড়া এলাকার মৃত. সুলতান আলীর ছেলে।
এদিকে শনিবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের হাতিবান্ধা এলাকায় একঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুদ্ধ মানুষরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপর দিকে পুলিশের পক্ষে তাৎক্ষনিকভাবে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। আসামীদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ ছুটে যায় ডিমলা উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা পশ্চিম ছাতনাই গ্রামে। সেখানে আসামী মহির উদ্দিন ও তার ছেলে ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয় বলে নীলফামারী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামী বাবা ছেলে সীমান্ত গলিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছিল বলে ওসি আরো জানান।
এদিকে জুয়েলের চাচা হুজুর আলী অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকায় হবিবর রহমান হবির হোটেলে মটর লাইনের ফিটিংস এর কাজ করার সময় একই এলাকার মহির উদ্দির তার বাড়িতে বাথরুমের ফিটিংস এর কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে জুয়েলকে।
এ সময় জুয়েল অপারগতা প্রকাশ করলে মহির ও তার দুই ছেলে ইদ্রিস আলী, নুরুজ্জামানসহ চারজন মিলে মেধরক মারধোর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাইপ দিয়ে আঘাত করে সটকে পড়ে তারা।
ঘটনাস্থলে অপর দুই মিস্ত্রির চিৎকারে এবং আশপাশের লোকজনদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে স্থানান্তরিত করা হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানে মারা যান জুয়েল।
বিষয়টি জানার পর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। সকাল এগারটার দিকে নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের হাতিবান্ধা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
হোটেল মালিক হবিবর রহমান হবি বলেন, আমার হোটেলে কাজ করার সময় মহির উদ্দিন জুয়েল মিস্ত্রিকে কাজের জন্য চাপ দিতে থাকে। সে কাজ করতে পারবে না বলে জানালে হোটেলের বাহিরে নিয়ে গিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। এ সময় তার সাথে থাকা দুই মিস্ত্রি মানিক ও জোনাব আলীকে মারধোর করে মহিররা।
এ ঘটনায় জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবুল কালাম ভুট্টু বাদী হয়ে মহির উদ্দিনসহ চারজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন গতকাল শুক্রবার রাতে। নিহত জুয়েলের সহকারী জোনাব আলী বলেন, আমরা মহিরের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার কাজ করে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি শুনেন নি। গত বৃহস্পতিবারই কাজ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলো। এক পর্যায়ে জুয়েলকে পিটাতে থাকে। আমিসহ জুয়েলের ছোট ভাই মানিক এগিয়ে গেলে আমাদেরও বেধরক পেটানো হয়। গুরুত্বর আহত মানিককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
আজ শনিবার দুপুরে নিহত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় দেড় বছর আগে রামনগর ইউনিয়নের বাহালিপাড়া চৌধুরীবাজার এলাকার কোহিনুর আলমের মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে বিয়ে হয় জুয়েলের। লাবনীর ছয় মাসের সন্তান সম্ভবা। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কান্না যেন থামছে না মা জোলেখা বেগমের।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম মোমিন জানান, এটি একটি হত্যাকান্ড। সেদিনের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এটি হত্যা মামলা হিসেবে রুপান্তরিত হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার বিক্ষুদ্ধরা সড়ক অবরোধ করলেও সঠিক তদন্ত এবং বিচারের আশ^াস দেয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল ট্র্যাকিং করে বিকালে ডিমলা উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে মহির উদ্দিন ও তার ছেলে ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিশমুড়ি এলাকার মৃত. অফদ্দি মামুদের ছেলে মহির উদ্দিন একজন দাদন ব্যবসায়ী। মাদকসহ বিভিন্ন মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। #
নিহত জুয়েল নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ পুর্বপাড়া এলাকার মৃত. সুলতান আলীর ছেলে।
এদিকে শনিবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের হাতিবান্ধা এলাকায় একঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুদ্ধ মানুষরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপর দিকে পুলিশের পক্ষে তাৎক্ষনিকভাবে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। আসামীদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ ছুটে যায় ডিমলা উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা পশ্চিম ছাতনাই গ্রামে। সেখানে আসামী মহির উদ্দিন ও তার ছেলে ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয় বলে নীলফামারী থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামী বাবা ছেলে সীমান্ত গলিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছিল বলে ওসি আরো জানান।
এদিকে জুয়েলের চাচা হুজুর আলী অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকায় হবিবর রহমান হবির হোটেলে মটর লাইনের ফিটিংস এর কাজ করার সময় একই এলাকার মহির উদ্দির তার বাড়িতে বাথরুমের ফিটিংস এর কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে জুয়েলকে।
এ সময় জুয়েল অপারগতা প্রকাশ করলে মহির ও তার দুই ছেলে ইদ্রিস আলী, নুরুজ্জামানসহ চারজন মিলে মেধরক মারধোর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাইপ দিয়ে আঘাত করে সটকে পড়ে তারা।
ঘটনাস্থলে অপর দুই মিস্ত্রির চিৎকারে এবং আশপাশের লোকজনদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে স্থানান্তরিত করা হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখানে মারা যান জুয়েল।
বিষয়টি জানার পর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। সকাল এগারটার দিকে নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের হাতিবান্ধা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
হোটেল মালিক হবিবর রহমান হবি বলেন, আমার হোটেলে কাজ করার সময় মহির উদ্দিন জুয়েল মিস্ত্রিকে কাজের জন্য চাপ দিতে থাকে। সে কাজ করতে পারবে না বলে জানালে হোটেলের বাহিরে নিয়ে গিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। এ সময় তার সাথে থাকা দুই মিস্ত্রি মানিক ও জোনাব আলীকে মারধোর করে মহিররা।
এ ঘটনায় জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবুল কালাম ভুট্টু বাদী হয়ে মহির উদ্দিনসহ চারজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন গতকাল শুক্রবার রাতে। নিহত জুয়েলের সহকারী জোনাব আলী বলেন, আমরা মহিরের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার কাজ করে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি শুনেন নি। গত বৃহস্পতিবারই কাজ করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলো। এক পর্যায়ে জুয়েলকে পিটাতে থাকে। আমিসহ জুয়েলের ছোট ভাই মানিক এগিয়ে গেলে আমাদেরও বেধরক পেটানো হয়। গুরুত্বর আহত মানিককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
আজ শনিবার দুপুরে নিহত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় দেড় বছর আগে রামনগর ইউনিয়নের বাহালিপাড়া চৌধুরীবাজার এলাকার কোহিনুর আলমের মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে বিয়ে হয় জুয়েলের। লাবনীর ছয় মাসের সন্তান সম্ভবা। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কান্না যেন থামছে না মা জোলেখা বেগমের।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম মোমিন জানান, এটি একটি হত্যাকান্ড। সেদিনের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এটি হত্যা মামলা হিসেবে রুপান্তরিত হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার বিক্ষুদ্ধরা সড়ক অবরোধ করলেও সঠিক তদন্ত এবং বিচারের আশ^াস দেয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল ট্র্যাকিং করে বিকালে ডিমলা উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে মহির উদ্দিন ও তার ছেলে ইদ্রিসকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিশমুড়ি এলাকার মৃত. অফদ্দি মামুদের ছেলে মহির উদ্দিন একজন দাদন ব্যবসায়ী। মাদকসহ বিভিন্ন মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। #