কিশোরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা- মামলার তিন আসামী গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2019/06/kisargang_27.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার তিনজন আসামী মাজেদুল,আনোয়ার হোসেন ও দুলু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার(২৬ জুন) নীলফামারী সদর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে নীলফামারী জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানা ও মামলার এজাহার মুলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের পোড়াকোর্ট গ্রামের মোশারফ হোসেন কসাইয়ের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে গত ৪ বছর আগে জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্র পাঠ ধুলাটিপাড়া গ্রামের রবিয়াল হোসেনের মেয়ে শিল্পী বেগম(২২) এর পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন । বিবাহের পর থেকে তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তানের জ¤œ হয়। কন্যা সন্তান জ¤েœর পর স্বাামী আরিফুল ইসলাম আরিফ, শশুর মোশারফ হোসেন, শাশুরী রেজিনা বেগমসহ সকলেই শিল্পী বেগমকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। স্ত্রী শিল্পী বেগম স্বামী, শশুর শাশুরীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২৬/২/২০১৭ ইং তারিখে ৫ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালত নীলফামারীতে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নম্বর ২২/১৭। মামলা চলাকালিন সময়ে গত ছয় মাস পুর্বে আসামীগণ কৌশলে শিল্পী বেগমকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মামলা মিমাংশার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আসামীদ্বয় আবারো শিল্পী বেগমকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার শুরু করে। ঘটনার দিন গত ২৫ জুন বিকাল ৪ টার সময় স্বামী আরিফুল, শশুর, শাশুরীসহ অন্যান্য আসামীরা শিল্পী বেগমকে মারপিট শুরু করলে শিল্পী বেগম অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামীগণ শিল্পী বেগমকে মৃত্যু ভেবে নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে শিল্পী বেগমের লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করে। পরে নিহতের মা রেজিনা বেগম বাদী হয়ে স্বামী, শশুর, শাশ্বুড়ীসহ ৯ জনকে আসামী করে ২৬ জুন বুধবার কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ১৬। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩)এর ১১(ক)/৩০।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুল হক বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর নীলফামারী সদর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় তিন আসামী ১/মাজেদুল২/আনোয়ার হোসেন৩/দুলু মিয়াকে গ্রেফতার করে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানা ও মামলার এজাহার মুলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের পোড়াকোর্ট গ্রামের মোশারফ হোসেন কসাইয়ের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে গত ৪ বছর আগে জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্র পাঠ ধুলাটিপাড়া গ্রামের রবিয়াল হোসেনের মেয়ে শিল্পী বেগম(২২) এর পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন । বিবাহের পর থেকে তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। এর মধ্যে তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তানের জ¤œ হয়। কন্যা সন্তান জ¤েœর পর স্বাামী আরিফুল ইসলাম আরিফ, শশুর মোশারফ হোসেন, শাশুরী রেজিনা বেগমসহ সকলেই শিল্পী বেগমকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। স্ত্রী শিল্পী বেগম স্বামী, শশুর শাশুরীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২৬/২/২০১৭ ইং তারিখে ৫ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালত নীলফামারীতে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নম্বর ২২/১৭। মামলা চলাকালিন সময়ে গত ছয় মাস পুর্বে আসামীগণ কৌশলে শিল্পী বেগমকে ভুলিয়ে ভালিয়ে মামলা মিমাংশার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আসামীদ্বয় আবারো শিল্পী বেগমকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার শুরু করে। ঘটনার দিন গত ২৫ জুন বিকাল ৪ টার সময় স্বামী আরিফুল, শশুর, শাশুরীসহ অন্যান্য আসামীরা শিল্পী বেগমকে মারপিট শুরু করলে শিল্পী বেগম অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামীগণ শিল্পী বেগমকে মৃত্যু ভেবে নিজ ঘরের তীরের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে শিল্পী বেগমের লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করে। পরে নিহতের মা রেজিনা বেগম বাদী হয়ে স্বামী, শশুর, শাশ্বুড়ীসহ ৯ জনকে আসামী করে ২৬ জুন বুধবার কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ১৬। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩)এর ১১(ক)/৩০।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুল হক বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর নীলফামারী সদর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় তিন আসামী ১/মাজেদুল২/আনোয়ার হোসেন৩/দুলু মিয়াকে গ্রেফতার করে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।