ডোমারে বৃষ্টি নামলেই হারিয়ে যায় বিদ্যুত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর ডোমারে বৃষ্টি নামার সাথে সাথেই হারিয়ে যায় বিদ্যুত। সামান্য বৃষ্টি নামলেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত বিহিন অবস্থায় থাকতে হয় ডোমারবাসীকে। আর তাছাড়া লোড শেডিংতো রয়েছে। বৃষ্টির সময় বিদ্যুত চলে গেলে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুত ছাড়াই চলতে হচ্ছে ডোমারবাসীকে। প্রচন্ড গরমে ঘন্টা পর ঘন্টা বিদ্যুত না থাকায় নিদারুন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে ডোমারবাসীকে। তাছাড়া বিদ্যুতের সমস্যার জন্য বিদ্যুত অফিসে সরকারী নম্বরে ফোন দেওয়া হলেও ফোন ধরা হয়না।শনিবার ভোরে বৃষ্টি নামার সাথে সাথেই বিদ্যুত হারিয়ে গেলেও সন্ধা ৬টা অবধি এখনো দেখা মেলেনি বিদ্যুতের। এদিকে বিদ্যুত না থাকায় অচল হয়ে পরেছে মানুষের জীবন যাত্রা। বিদ্যুত না থাকায় চলছে না মিল ও কারখানা। ফলে বেকার হয়ে পরে রয়েছে শ্রমিকরা। আর বিদ্যুতের সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ হয়ে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক কাজ ছাড়াই বসে রয়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে এর মালিকদের। কিছুদিন আগেও ডোমার উপজেলার অলি/গলিতে নতুন পিলার ও নতুন কারেন্টের লাইন বসানো হলেও বিদ্যুতের কোন উন্নতি হয়নি। সন্ধার পর পরেই প্রায় দুই ঘন্টা লোড শেডিংয়ের কবলে পরতে হয় ডোমারবাসীকে। তাছাড়া দিনের বেলায় চলে বিদ্যূতের লুকোচুড়ি খেলা।আর রোদ হলেতো কথায় নেই। রোদ হলে বেড়ে যায় বিদ্যুতের লুকোচুড়ি খেলা। হিমেল নামে এক ছাত্র বলেন,ডোমারে মানুষ থাকে নাকি। এখানে বলা নাই কয়া নাই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত থাকেনা।তারপরও কেউ এর প্রতিবাদ করেনা। মোতালেব নামে এক ব্যাক্তি জানান, বিদ্যুত অফিস তাদের ইচ্ছামত চলছে। তারা যদি মনে করে বিদ্যুত দিতে হবে তাহলে বিদ্যুত আসবে। আর যদি মনে করে সারাদিন বিদ্যুত দিবে না তাহলে সারা দিনেই আসবে না বিদ্যুত। এদিকে বিদূতের এহেন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা জন নানা মন্তব্য করছে। নাম না জানার শর্তে এক ছাত্র জানান, ডোমারে কোন নেতা নেই। আর যারা রয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়েই ব্যাস্ত। জনগনের ভোগান্তির কথা তাদের মনে নেই। কারন তাদের বাড়ীতে রয়েছে সরকারী সোলার রয়েছে আইপিএসও।ডোমারে গরম আসার সাথে সাথেই বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জন সাধারন। আর মেইন লাইন ফল্ট বলে ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা বিদ্যুত ছাড়াই চলছে ডোমারের মানুষ।প্রদীপ শর্মা নামে এক ব্যবসায়ী জানান,মানুষের ধৈর্য্যরে বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।।বিদ্যুত বিভাগের খামখেলয়ালীপনার কারনে থাকছে না ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত।  বিদ্যুতের কি সমস্যা এটা জানার জন্য জন সাধারনের জন্য দেওয়া রয়েছে সরকারী নম্বর। এই নম্বরে সারাদিন ফোন দেওয়া হলেও কেউ রিসিভ করেনা ফোন। এ বিষয়ে জানার জন্য ডোমার বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে রিং হলেও রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।  

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1070664793693847277

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item