কিশোরগঞ্জে ঈদের দিন নিজ বাড়িতে লাশ॥ হত্যা না আত্মহত্যা?

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ 
ঈদের দিন রাতে নিজবাড়িতে লাশ হয়েছে লাভলু মিয়া (৩২)। অভিযোগ বিমাতা ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বচসার সময় প্রতিপক্ষের হাতে লাভলু নিহত হয়। নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিন বাহাগিলি হাজ্বীপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় পুলিশ লাভলুর মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এখনো তা রহস্য। লাভলু মিয়া ওই গ্রামের মতিয়ার রহমানের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ও ঢাকার একটি তৈরী পোষাক কারখানার কর্মরত ছিল।
জানা যায়, ঈদের আগের দিন লাভলু ঈদ উদযাপন করতে নিজ বাড়িতে আসে। লাভলুর বাবার প্রথম পক্ষের সন্তান লাভলুরা ২ ভাই এক বোন। দ্বিতীয় পক্ষের রয়েছে ২ ছেলে ২ মেয়ে। গ্রামের বাড়িতে লাভলুর বাবা দুই মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকতো লাভলুর ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সানজিদা খাতুন।
এলাকাবাসীরা জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যায় লাভলু জানতে পারে তার বাবার নিকট হতে জোড়পূর্বক জমি লিখে নিয়েছে বিমাতার দুই ছেলে। ঘটনাটি সে রাতেই তার বাবার কাছ থেকে নিশ্চিত হয়। এরপর সে তার বিমাতা ভাই শামিমের কাছে জানতে চায় তারা দুই ভাই কেন বাবার কাছে জোড়পূর্বক জমি লিখে নিয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা সৃস্টি হয়।
ঈদের দিন রাত ১১টার দিকে গ্রামে প্রচার পায় লাভলু মিয়া গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। কিন্তু কেউ লাশ ঝুলতে দেখেনি। ঈদের পর দিন বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার প্রভাবশালীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাশ দাফনের চেস্টা চালায়। কিন্তু লাভলু মিয়ার স্ত্রী খবরটি জানিয়ে দেয় তার বাবার বাড়িতে। সেখানে হতে লোকজন এসে লাশ দাফনে বাধা দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপরও প্রভাবশালীরা লাশ দাফনের চেস্টা চালালে সেখানে উত্তেজনা সৃস্টি হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠায়।
অভিযোগ উঠেছে লাভলুর সঙ্গে তার বিমাতা ভাই শামিমের বচসার এক পর্যায় শামিম লাভলুর গলা চেপে ধরায় তার মৃত্যু হয়। অপর দিকে বিমাতার ভাইরা বলছে লাভলু নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন আর রশীদ জানান প্রাথমিক ভাবে একটি জিডি করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রির্পোট এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #