বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১,কী ব্যবস্থা দুপুরের মধ্যে জানতে চান হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক



বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চন্দন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর মোহাম্মদ হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার নিহত রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।

 অন্যদিকে এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দুপুর ২টার মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে রিফাত হত্যা নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গণমাধ্যমে দিনেদুপুরে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস আদালতে বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, এখনো মামলা হয়নি। এমন অপরাধের ঘটনার বিচার যদি কোনো কারণে বিলম্ব হয় ও বিচারহীন হয়, তা হলে আরও এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তবে বিচার হবে আশা করছি।’
আদালত বলেছেন, সারাদেশের সবাই এ ঘটনায় মর্মাহত। সমাজটা কোথায় যাচ্ছে? প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষটাকে মারল। একজন ছাড়া কেউ এগিয়ে আসল না। জনগণকে আপনি কী করবেন? বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না। ভিডিও করল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসল না। এটি জনগণের ব্যর্থতা। তাই এই সামাজিক সচেতনতা তৈরি করবে কে? দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেউ প্রতিবাদ করল না। পাঁচজন মানুষ অন্তত এগিয়ে এলে হয়তো তারা সাহস পেত না। হয়তো তারা (দুর্বৃত্তরা) ক্ষমতাবান, হয়তো মানুষ ভয়ে এগিয়ে আসেনি।
এ সময় আদালত জানতে চান, মামলা হয়েছে কিনা। উপস্থিত এক আইনজীবী বলেন, নিহত রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এর পর আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে ওই তথ্য বেলা ২টায় আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 416860999439524331

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item