সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী এক ভিক্ষুকের চলাচলের পথ সুগম হলো ॥ পেলেন হুইল চেয়ার
https://www.obolokon24.com/2019/05/wheel-chair.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ভারতীয় স্বনামখ্যাত কন্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত একটি গানের কলি “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না বন্ধু”। আর হ্যাঁ ‘মানুষ যে মানুষের জন্য তা আবার প্রমাণিত হলো নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলাচলের পথ সুগম করতে সহায়তা হাত বাড়ানোর মধ্যদিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুর রহমানের চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেন কানাডা প্রবাসী মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার। পিরোজপুর জেলার হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠনের নির্বাহী প্রধান তিনি ( মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার)। আজু( মঙ্গলবার) সকালে সৈয়দপুরে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কমর্রত মোরশেদুল হক মোর্শেদের মাধ্যমে এবং স্থানীয় কয়েক স্বেচছাসেবীর উপস্থিতিকে ওই প্রতিবন্ধী বাড়িতে গিয়ে ওই হুইল চেয়ারটি স্থান্তান্তর করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত. মোক্তার আলী ও নুরজা কাতুন দম্পতির পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয় সুজানুর রহমান (৩৭)। তিনি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর দুটি পা নেই। বেয়ারিংয়ের তৈরি তিন চাকার একটি গাড়িতে বসেই তাঁর চলাচল। ছোটকাল থেকে এভাবে তিনি বেড়ে উঠেন। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সুজানুর রহমান ছোট বেলা থেকেই ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করে আসছেন। ইতোমধ্যে সে বিয়েসাদিও করেছে। তাঁর এক মেয়ে দুই ছেলে সন্তান। আগে নিজ উপজেলা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ও হাটবাজারে ভিক্ষা করতো। কিন্তু সারদিন দিন ভিক্ষা করে তাতে সংসারের তিন বেলা লবন ভাতই জুটতো না। এ অবস্থায় আনুমানিক গত ৮/৯ বছর আগে প্রতিবন্ধী সুজনুর রহমান নিজ গ্রাম থেকে চলে আসেন নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে। এখানে স্ত্রী সুপরা বেগম ও তিন সন্তানকে নিয়ে শহরের নিয়ামতপুর জুমাপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেন। মাসিক ভাড়া বাড়ি দেন ৯ শ টাকাা। আর তিনি বিয়ারিংয়ের তিন চাকার ছোট একটি গাড়িতে বসে হাতে সাহায্যেে ঠেলে ঠেলে চলাচল করে ভিক্ষা করেন সৈয়দপুর শহরে। প্রতিদিন ভিক্ষা করে ২/৪ শ’ টাকার আয়রোজগার হয়। ওই আয়েই চলে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসারে কোন রকমে দুবেলা খাবার। তিনি মূলতঃ সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের তাজির উদ্দিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’র সামনে বেশি সময় ভিক্ষার জন্য বসেন।
এদিকে, গত শনিবার (১৮ মে) সকালে সৈয়দপুরে বাজার করতে আসেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত মো. মোরশেদুল হক মোর্শেদ। এ সময় শহরের পাঁচমাথা মোড়ের গরুর মাংস মার্কেটের সামনে ওই এনজিও কর্মীর নজর পড়েন শারীরিক প্রতিবন্ধীর সুজানুর রহমান। এ সময় বেয়ারিংয়ের একটি তিনটি চাকার গাড়িতে বসে হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে ভিক্ষা করছিলেন সুজানুর। এনজিও কর্মী মোর্শেদ ওই শারীরিক প্রতিন্ধীর কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় উন্নয়নকর্মী মোর্শেদ তাঁর নিজ মুঠোফোনে বিয়ারিংয়ের তিন চাকার গাড়িতে বসা অবস্থায় সুজানুরের স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিবন্ধী সুজানুরের তোলা স্থির ও ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন। তাতে লেখা হয় “বিয়ারিংয়ের তিন চাকায় গাড়িতে আটকে আছে জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুরের জীবন। একটি হুইল চেয়ার বদলে দিতে পারে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জুমাপাড়ার সুজানুরের জীবন। সুজানুর নতুন করে তাঁর জীবন সাজাতে চায়, এর জন্য তাঁর জীবনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি কর্ম চাই। আপাতত সুজানুরের জন্য একটি হুইল চেয়ার চাই।”
এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুরের কষ্টের জীবনযুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরা হয়।
আর এটি নজরে আসে কানাডা প্রবাসী পিরোজপুরের মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার। তিনি সৈয়দপুরে এনজিওতে কর্মরত পূর্ব পরিচিতি মোর্শেদের মাধ্যমে ওই প্রতিবন্ধীর ব্যাপারে সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
এরপর তিনি ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে যেন আর কষ্ট করে বিয়ারিংয়ের তিন চাকার গাড়িতে বসে হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে ভিক্ষা করতে না হয়, তাই তাঁর কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ নেন। পিরোজপুরের হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সুজানুরের জন্য নতুন একটি হুইল চেয়ার কিনে পাঠান।মঙ্গলবার (২১ মে) সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়ায় প্রতিবন্ধী সুজানুরের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ওই হুইল চেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় এনজিও কর্মী মোরশেদুল হক মোর্শেদ ছাড়াও শহরের স্বেচ্ছাসেবী জিনাত আরা জিতু, আমির হোসেন, সোহেল রানা, রাশেদ, মো. হীরা, নাহিদ ও আবিদা সুলতানা রিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজনুরের সঙ্গে গতকাল বিকেলে কথা হলে তিনি জানান, সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃনিত পেশা। কেউ এটিকে ভাল চোখে নেয় না। আমারও ভিক্ষা করতে মন চায় না। কিন্তুু অনেকটাই বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে করতে হচ্ছে। কারণ আমার দুই পা অচল। কেউ যদি আমার জন্য কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা করার মতো পুঁজির ব্যবস্থা করতেন, তাহলে আমি ভিক্ষা করা ছেড়ে দিতাম। এ জন্য তিনি সমাজের সম্পদশালী ও হৃদয়বান মানুষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ নিয়ে হুইল চেয়ার প্রদানকারী মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে যার মাধ্যমে হুইল চেয়ারটি সুজানুরকে দেওয়া হয় তিনি এনজিও কর্মী মোরশেদ । তিনি জানান, নাসির উদ্দিন স্যার একজন ভাল মানুষ। তিনি এখানে দীর্ঘদিন পল্লী কর্ম-সংস্থান ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও যোগাযোগ। তিনি নিজ গ্রামে দুস্থ, অসহায় মানুষের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠন। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে থাকেন। তিনি কানাডা প্রবাসী হলেও সব সময় দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে নানা রকম চিন্তা ভাবনা করেন বরে জানান তিনি।
ভারতীয় স্বনামখ্যাত কন্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত একটি গানের কলি “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না বন্ধু”। আর হ্যাঁ ‘মানুষ যে মানুষের জন্য তা আবার প্রমাণিত হলো নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলাচলের পথ সুগম করতে সহায়তা হাত বাড়ানোর মধ্যদিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুর রহমানের চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেন কানাডা প্রবাসী মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার। পিরোজপুর জেলার হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠনের নির্বাহী প্রধান তিনি ( মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার)। আজু( মঙ্গলবার) সকালে সৈয়দপুরে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কমর্রত মোরশেদুল হক মোর্শেদের মাধ্যমে এবং স্থানীয় কয়েক স্বেচছাসেবীর উপস্থিতিকে ওই প্রতিবন্ধী বাড়িতে গিয়ে ওই হুইল চেয়ারটি স্থান্তান্তর করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত. মোক্তার আলী ও নুরজা কাতুন দম্পতির পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয় সুজানুর রহমান (৩৭)। তিনি জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর দুটি পা নেই। বেয়ারিংয়ের তৈরি তিন চাকার একটি গাড়িতে বসেই তাঁর চলাচল। ছোটকাল থেকে এভাবে তিনি বেড়ে উঠেন। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সুজানুর রহমান ছোট বেলা থেকেই ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করে আসছেন। ইতোমধ্যে সে বিয়েসাদিও করেছে। তাঁর এক মেয়ে দুই ছেলে সন্তান। আগে নিজ উপজেলা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ও হাটবাজারে ভিক্ষা করতো। কিন্তু সারদিন দিন ভিক্ষা করে তাতে সংসারের তিন বেলা লবন ভাতই জুটতো না। এ অবস্থায় আনুমানিক গত ৮/৯ বছর আগে প্রতিবন্ধী সুজনুর রহমান নিজ গ্রাম থেকে চলে আসেন নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে। এখানে স্ত্রী সুপরা বেগম ও তিন সন্তানকে নিয়ে শহরের নিয়ামতপুর জুমাপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেন। মাসিক ভাড়া বাড়ি দেন ৯ শ টাকাা। আর তিনি বিয়ারিংয়ের তিন চাকার ছোট একটি গাড়িতে বসে হাতে সাহায্যেে ঠেলে ঠেলে চলাচল করে ভিক্ষা করেন সৈয়দপুর শহরে। প্রতিদিন ভিক্ষা করে ২/৪ শ’ টাকার আয়রোজগার হয়। ওই আয়েই চলে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসারে কোন রকমে দুবেলা খাবার। তিনি মূলতঃ সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের তাজির উদ্দিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’র সামনে বেশি সময় ভিক্ষার জন্য বসেন।
এদিকে, গত শনিবার (১৮ মে) সকালে সৈয়দপুরে বাজার করতে আসেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত মো. মোরশেদুল হক মোর্শেদ। এ সময় শহরের পাঁচমাথা মোড়ের গরুর মাংস মার্কেটের সামনে ওই এনজিও কর্মীর নজর পড়েন শারীরিক প্রতিবন্ধীর সুজানুর রহমান। এ সময় বেয়ারিংয়ের একটি তিনটি চাকার গাড়িতে বসে হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে ভিক্ষা করছিলেন সুজানুর। এনজিও কর্মী মোর্শেদ ওই শারীরিক প্রতিন্ধীর কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় উন্নয়নকর্মী মোর্শেদ তাঁর নিজ মুঠোফোনে বিয়ারিংয়ের তিন চাকার গাড়িতে বসা অবস্থায় সুজানুরের স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রতিবন্ধী সুজানুরের তোলা স্থির ও ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন। তাতে লেখা হয় “বিয়ারিংয়ের তিন চাকায় গাড়িতে আটকে আছে জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুরের জীবন। একটি হুইল চেয়ার বদলে দিতে পারে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন জুমাপাড়ার সুজানুরের জীবন। সুজানুর নতুন করে তাঁর জীবন সাজাতে চায়, এর জন্য তাঁর জীবনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি কর্ম চাই। আপাতত সুজানুরের জন্য একটি হুইল চেয়ার চাই।”
এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) শারীরিক প্রতিবন্ধী সুজানুরের কষ্টের জীবনযুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরা হয়।
আর এটি নজরে আসে কানাডা প্রবাসী পিরোজপুরের মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার। তিনি সৈয়দপুরে এনজিওতে কর্মরত পূর্ব পরিচিতি মোর্শেদের মাধ্যমে ওই প্রতিবন্ধীর ব্যাপারে সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
এরপর তিনি ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে যেন আর কষ্ট করে বিয়ারিংয়ের তিন চাকার গাড়িতে বসে হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে ভিক্ষা করতে না হয়, তাই তাঁর কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ নেন। পিরোজপুরের হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সুজানুরের জন্য নতুন একটি হুইল চেয়ার কিনে পাঠান।মঙ্গলবার (২১ মে) সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়ায় প্রতিবন্ধী সুজানুরের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ওই হুইল চেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় এনজিও কর্মী মোরশেদুল হক মোর্শেদ ছাড়াও শহরের স্বেচ্ছাসেবী জিনাত আরা জিতু, আমির হোসেন, সোহেল রানা, রাশেদ, মো. হীরা, নাহিদ ও আবিদা সুলতানা রিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজনুরের সঙ্গে গতকাল বিকেলে কথা হলে তিনি জানান, সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃনিত পেশা। কেউ এটিকে ভাল চোখে নেয় না। আমারও ভিক্ষা করতে মন চায় না। কিন্তুু অনেকটাই বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে করতে হচ্ছে। কারণ আমার দুই পা অচল। কেউ যদি আমার জন্য কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা করার মতো পুঁজির ব্যবস্থা করতেন, তাহলে আমি ভিক্ষা করা ছেড়ে দিতাম। এ জন্য তিনি সমাজের সম্পদশালী ও হৃদয়বান মানুষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ নিয়ে হুইল চেয়ার প্রদানকারী মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে যার মাধ্যমে হুইল চেয়ারটি সুজানুরকে দেওয়া হয় তিনি এনজিও কর্মী মোরশেদ । তিনি জানান, নাসির উদ্দিন স্যার একজন ভাল মানুষ। তিনি এখানে দীর্ঘদিন পল্লী কর্ম-সংস্থান ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও যোগাযোগ। তিনি নিজ গ্রামে দুস্থ, অসহায় মানুষের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন হ্যাবিট্যাট ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠন। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে থাকেন। তিনি কানাডা প্রবাসী হলেও সব সময় দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে নানা রকম চিন্তা ভাবনা করেন বরে জানান তিনি।