চিলাহাটি-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে দিবাকালীন ট্রেন চাই
https://www.obolokon24.com/2019/05/train_18.html
- খুরশিদ জামান কাকন
রেলের শহর হিসেবে খ্যাত সৈয়দপুর। ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠার পর পরই বদলে যায় এই এলাকার চেহারা। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। প্রায়দিন নতুন-পুরাতন বিভিন্ন ধরনের কোচ মেরামত ও পরিচর্যার কাজ এই কারখানায় করা হয়। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে রেলপথে এই শহরের সাথে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
.
অথচ উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুরের সাথে রেলযোগে বর্তমানে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র ট্রেন 'নীলসাগর এক্সপ্রেস'। রাত্রিকালীন এই ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় যেনো নিত্যদিনের ঘটনা। কোন কোন সময় সিডিউল বিপর্যয়ের মাত্রা ৬ থেকে ৮ ঘন্টারও অধিক দেখা যায়। এরফলে যাত্রী সাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার একমাত্র ট্রেন হওয়ায় যাত্রীর চাপও প্রচুর। এ কারনে নীলসাগরের টিকিট পাওয়া যেনো বর্তমানে সোনার হরিন।
.
এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সৈয়দপুরবাসী দ্বীর্ঘদিন ধরে চিলাহাটি-সৈয়দপুর থেকে ঢাকা রুটে দিবাকালীন আরেকটি ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। সৈয়দপুর সহ গোটা নীলফামারী জেলার এই যুক্তিক দাবী কোনসময়ে কতৃপক্ষ গুরুত্বের চোখে দেখেনি। নানান অজুহাতে দিবাকালীন ট্রেন চালু করার দাবিকে নাকচ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে নতুন করে আর কোন ট্রেন পারাপার সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
.
কিন্তু মাসখানিক আগে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস নামে একটি ননস্টপ ট্রেন চালু করা হলো। আসন্ন ঈদের আগেই ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আরেকটি ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই রুটে একতা ও দ্রুতযান নামে দুইটি ট্রেন চলাচল করছে। বিরতিহীন নতুন ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। অথচ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রুটে আরেকটি ট্রেন দেওয়ার বেলাতেই কতৃপক্ষের যতো টালবাহানা। এর পিছনে দায়ভার কিছুটা হলেও আমাদের সৈয়দপুরবাসীর উপরে বর্তায়।
.
আমরা আমাদের এই প্রানের দাবিকে বৃহৎ আন্দোলনে রূপ দিতে পারিনি। আমাদের রাজনীতিবিদগন নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। এরফলে আমাদের দ্বীর্ঘদিনের এই চাওয়াকে উপরি মহলে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়নি। অন্যদিকে পঞ্চগড় বাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী একতা ও দূতযান ট্রেন দুটি পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। সেই সাথে এবার ঈদের পূর্বে বিরতিহীন একটি ট্রেন আদায় করে নিচ্ছে পঞ্চগড়ের মানুষ।
.
আর আমরা অবহেলিত ছিলাম, এখনো অবহেলিতই থেকে গেলাম। যতোদিন পর্যন্ত আমরা নিজেদের ভালো না বুঝবো, নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ না হবো, ততদিন আমরা এভাবে বঞ্চিতই থেকে যাবো। এখনো সময় আছে আমাদের জেগে উঠার। দলমত-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায়ে সজাগ হওয়ার। রাজধানী ঢাকাগামী আরেকটি ট্রেন চালু করার জন্য গন আন্দোলন সৃষ্টি করার।
রেলের শহর হিসেবে খ্যাত সৈয়দপুর। ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠার পর পরই বদলে যায় এই এলাকার চেহারা। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। প্রায়দিন নতুন-পুরাতন বিভিন্ন ধরনের কোচ মেরামত ও পরিচর্যার কাজ এই কারখানায় করা হয়। সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে রেলপথে এই শহরের সাথে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
.
অথচ উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুরের সাথে রেলযোগে বর্তমানে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র ট্রেন 'নীলসাগর এক্সপ্রেস'। রাত্রিকালীন এই ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় যেনো নিত্যদিনের ঘটনা। কোন কোন সময় সিডিউল বিপর্যয়ের মাত্রা ৬ থেকে ৮ ঘন্টারও অধিক দেখা যায়। এরফলে যাত্রী সাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার একমাত্র ট্রেন হওয়ায় যাত্রীর চাপও প্রচুর। এ কারনে নীলসাগরের টিকিট পাওয়া যেনো বর্তমানে সোনার হরিন।
.
এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সৈয়দপুরবাসী দ্বীর্ঘদিন ধরে চিলাহাটি-সৈয়দপুর থেকে ঢাকা রুটে দিবাকালীন আরেকটি ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছে। সৈয়দপুর সহ গোটা নীলফামারী জেলার এই যুক্তিক দাবী কোনসময়ে কতৃপক্ষ গুরুত্বের চোখে দেখেনি। নানান অজুহাতে দিবাকালীন ট্রেন চালু করার দাবিকে নাকচ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে নতুন করে আর কোন ট্রেন পারাপার সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
.
কিন্তু মাসখানিক আগে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস নামে একটি ননস্টপ ট্রেন চালু করা হলো। আসন্ন ঈদের আগেই ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আরেকটি ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই রুটে একতা ও দ্রুতযান নামে দুইটি ট্রেন চলাচল করছে। বিরতিহীন নতুন ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। অথচ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রুটে আরেকটি ট্রেন দেওয়ার বেলাতেই কতৃপক্ষের যতো টালবাহানা। এর পিছনে দায়ভার কিছুটা হলেও আমাদের সৈয়দপুরবাসীর উপরে বর্তায়।
.
আমরা আমাদের এই প্রানের দাবিকে বৃহৎ আন্দোলনে রূপ দিতে পারিনি। আমাদের রাজনীতিবিদগন নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। এরফলে আমাদের দ্বীর্ঘদিনের এই চাওয়াকে উপরি মহলে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়নি। অন্যদিকে পঞ্চগড় বাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী একতা ও দূতযান ট্রেন দুটি পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। সেই সাথে এবার ঈদের পূর্বে বিরতিহীন একটি ট্রেন আদায় করে নিচ্ছে পঞ্চগড়ের মানুষ।
.
আর আমরা অবহেলিত ছিলাম, এখনো অবহেলিতই থেকে গেলাম। যতোদিন পর্যন্ত আমরা নিজেদের ভালো না বুঝবো, নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ না হবো, ততদিন আমরা এভাবে বঞ্চিতই থেকে যাবো। এখনো সময় আছে আমাদের জেগে উঠার। দলমত-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায়ে সজাগ হওয়ার। রাজধানী ঢাকাগামী আরেকটি ট্রেন চালু করার জন্য গন আন্দোলন সৃষ্টি করার।