পনির তৈরীতে সফল নারী ঠাকুরগাঁওয়ের মাসুমা খানম
https://www.obolokon24.com/2019/05/thakurgaon_12.html
আব্দুল আওয়াল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ স্কুল জীবন থেকে একজন নারী ভাবতেন হাজারও নারীকে নিয়ে। নিজে স্বাবলম্বী হয়ে অন্য আরেকজন নারীকে কিভাবে স্বাবলম্বী করা যায় এবং কিভাবে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নারীদের আত্মনির্ভর করে দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নেওয়া যায় সে চিন্তা করতেন সব সময়? শুধু নারীদের কর্মসংস্থান নিয়েই নয় তিনি ভাবেন নারীদের সমস্ত কিছু নিয়ে। একজন নারীকে সাহস যুগীয়ে তার পাশে দাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার তিনি সবই করেন। পাশে দাড়ান নির্যাতিত নারীর শক্ত ভিত্তি হয়েও। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজেও অংশ নেন তিনি। এতক্ষন যারা কথা বলা হলো তার নাম মাসুমা খানম মিষ্টি (৪৫)। তিনি থাকেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। আজ তিনি একজন সফল নারী উদ্বোক্তা। পনির তৈরির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাসুমা খানম মিষ্টি। নগরে বা শহরে আমরা পাস্তা বা ফাস্টফুডের সাথে যে চীজ পাই সে সকল চীজ বা পনীর দুধ থেকে তৈরি করেন মাসুমা খানম মিষ্টি। তার তৈরী চীজ দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন রপ্তানী হয় দেশের বাহিরে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কেউ সাইকেলে কেউ ভ্যানে আবার কেউ ইজি বাইকে করে নিজ নিজ দুগ্ধ খামার থেকে দুধ আনছে খামারীরা। জানা গেলো গত কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলগুলোতে ছিলোনা কোন দুগ্ধ খামার । এসব খামার গড়ে উঠেছে মাসুমা খানমের চীজ কারখানাকে কেন্দ্র করে।
একাধিক খামারী জানান, তেমন কোন চীজ কারখানা ছিলনা বলে তারা শুধু খামার করার স্বপ্নই দেখে যেতো কোন খামার করতে সাহস পাচ্ছিলোনা। এখন মাসুমা খানমের খামার চিজ কারখানা হওয়ার কারনে এবং এখানে দুধ দিয়ে টাকা সহজে পাওয়ার কারনে তারা খামার করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং নতুন নতুন খামার করছে।
জানা যায় স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে ১৯৯৫ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে মাত্র ২৫০০ টাকা ঋণ নিয়ে একটি হাঁস মুরগীর খামার দিয়ে যাত্রা শুরু করেন মাসুমা খানম মিষ্টি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তাকে আর পেছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে খামার বড় করেছেন উপার্জিত অর্থ দিয়ে। করেছেন নিজস্ব দুগ্ধ খামার। নিজের খামারের গরুর দুধ থেকে অল্প পরিসরে তৈরি করা শুরু করেছিলেন পনীর। আস্তে আস্তে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার চীজ কারখানায় গরুর দুধ আসতে শুরু করেছে এখন এবং বড় পরিসরে তৈরি হচ্ছে পনির। এখন পর্যন্ত তার চীজ কারখানা ও দুগ্ধ খামারে মোট ৪৫ জন পুরুষ ও মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। জেলার অনেক দুস্থ ও অবহেলিত এসব মানুষ তার চীজ কারখানায় কাজ করে দুবেলা দুমুঠো আহার যোগার করতে সক্ষম হচ্ছে।
মাসুমা খানম মিষ্টির চীজ কারখানায় কর্মরত নারী শহিনা, বেলী ও নিহার জানান, আন্টির ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। তার ভালোবাসা আদর ¯েœহ না পেলে আমরা আজ আত্মনির্ভর হতে পারতাম না। আমাদের অভাব ও অসময়ে আন্টি আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন আমাদের সাহস যুগীয়ে আমাদের আত্ম প্রত্যয়ী করার চেষ্টা করেছেন। আমরা তার আরও সাফল্য কামনা করছি।
সফল নারী উদ্বোক্তা মাসুমা খানম মিষ্টি বলেন, স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে খুব অল্প পরিসরে একটি হাঁস মুরগীর খামার দিয়ে আমার যাত্রা শুরু হয়। আমার জীবনে অনেক শুভাকাঙ্খীর অনুপ্রেরণায় আমি ধীরে ধীরে আজ এতদূর পর্যন্ত আসতে সক্ষম হয়েছি।তিনি বলেন আমার এখন পর্যন্ত যতটুকু সফলতা এসেছে তার পেছনে আমার পরিবার ও আমার সাথে যারা কাজ করে তাদের সহযোগিতা রয়েছে অনেক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও, ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ঠাুকরগাঁওয়ে যেহেতু তেমন বড় কোন শিল্প কারখানা নেই সে জন্য এখানকার মানুষরা নিজস্ব উদ্বোগ্যে ক্ষুদ্র শিল্প করছে এবং বেশ সাফল্য অর্জন করছে। এটা একটি অঞ্চলের খুব ভালো একটা অর্থনৈতিক দিক। তিনি বলেন, মাসুমা খান মিষ্টি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তার কারখানায় অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার কারখানায় উৎপাদিক পন্য ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এবং তার যে কর্মকান্ড আমি আশা করি তাকে দেখে এ জেলার আরও অনেক নারী উদ্বোক্তা হবে।
ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তার জন্য মাসুমা খানম মিষ্টি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে পুরুস্কৃত হয়েছে একাধিকবার। ২০১৮ সালে বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তা হিসেবে ১৩ তম সিটি ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তা পুরুস্কার পান তিনি। তার সাফল্য এখন দেশ জুড়ে বিস্তৃত। পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি শুধু এই কথাটিকে লালন করে কাজ করে চলেছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন একদিন তার মতো হাজারো নারী বাংলাদেশ সফলকাম হবে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কেউ সাইকেলে কেউ ভ্যানে আবার কেউ ইজি বাইকে করে নিজ নিজ দুগ্ধ খামার থেকে দুধ আনছে খামারীরা। জানা গেলো গত কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলগুলোতে ছিলোনা কোন দুগ্ধ খামার । এসব খামার গড়ে উঠেছে মাসুমা খানমের চীজ কারখানাকে কেন্দ্র করে।
একাধিক খামারী জানান, তেমন কোন চীজ কারখানা ছিলনা বলে তারা শুধু খামার করার স্বপ্নই দেখে যেতো কোন খামার করতে সাহস পাচ্ছিলোনা। এখন মাসুমা খানমের খামার চিজ কারখানা হওয়ার কারনে এবং এখানে দুধ দিয়ে টাকা সহজে পাওয়ার কারনে তারা খামার করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং নতুন নতুন খামার করছে।
জানা যায় স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে ১৯৯৫ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে মাত্র ২৫০০ টাকা ঋণ নিয়ে একটি হাঁস মুরগীর খামার দিয়ে যাত্রা শুরু করেন মাসুমা খানম মিষ্টি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তাকে আর পেছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে খামার বড় করেছেন উপার্জিত অর্থ দিয়ে। করেছেন নিজস্ব দুগ্ধ খামার। নিজের খামারের গরুর দুধ থেকে অল্প পরিসরে তৈরি করা শুরু করেছিলেন পনীর। আস্তে আস্তে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার চীজ কারখানায় গরুর দুধ আসতে শুরু করেছে এখন এবং বড় পরিসরে তৈরি হচ্ছে পনির। এখন পর্যন্ত তার চীজ কারখানা ও দুগ্ধ খামারে মোট ৪৫ জন পুরুষ ও মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। জেলার অনেক দুস্থ ও অবহেলিত এসব মানুষ তার চীজ কারখানায় কাজ করে দুবেলা দুমুঠো আহার যোগার করতে সক্ষম হচ্ছে।
মাসুমা খানম মিষ্টির চীজ কারখানায় কর্মরত নারী শহিনা, বেলী ও নিহার জানান, আন্টির ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। তার ভালোবাসা আদর ¯েœহ না পেলে আমরা আজ আত্মনির্ভর হতে পারতাম না। আমাদের অভাব ও অসময়ে আন্টি আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন আমাদের সাহস যুগীয়ে আমাদের আত্ম প্রত্যয়ী করার চেষ্টা করেছেন। আমরা তার আরও সাফল্য কামনা করছি।
সফল নারী উদ্বোক্তা মাসুমা খানম মিষ্টি বলেন, স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে খুব অল্প পরিসরে একটি হাঁস মুরগীর খামার দিয়ে আমার যাত্রা শুরু হয়। আমার জীবনে অনেক শুভাকাঙ্খীর অনুপ্রেরণায় আমি ধীরে ধীরে আজ এতদূর পর্যন্ত আসতে সক্ষম হয়েছি।তিনি বলেন আমার এখন পর্যন্ত যতটুকু সফলতা এসেছে তার পেছনে আমার পরিবার ও আমার সাথে যারা কাজ করে তাদের সহযোগিতা রয়েছে অনেক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও, ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ঠাুকরগাঁওয়ে যেহেতু তেমন বড় কোন শিল্প কারখানা নেই সে জন্য এখানকার মানুষরা নিজস্ব উদ্বোগ্যে ক্ষুদ্র শিল্প করছে এবং বেশ সাফল্য অর্জন করছে। এটা একটি অঞ্চলের খুব ভালো একটা অর্থনৈতিক দিক। তিনি বলেন, মাসুমা খান মিষ্টি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তার কারখানায় অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার কারখানায় উৎপাদিক পন্য ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এবং তার যে কর্মকান্ড আমি আশা করি তাকে দেখে এ জেলার আরও অনেক নারী উদ্বোক্তা হবে।
ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তার জন্য মাসুমা খানম মিষ্টি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে পুরুস্কৃত হয়েছে একাধিকবার। ২০১৮ সালে বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তা হিসেবে ১৩ তম সিটি ক্ষুদ্র নারী উদ্বোক্তা পুরুস্কার পান তিনি। তার সাফল্য এখন দেশ জুড়ে বিস্তৃত। পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি শুধু এই কথাটিকে লালন করে কাজ করে চলেছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন একদিন তার মতো হাজারো নারী বাংলাদেশ সফলকাম হবে।