সৈয়দপুরে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার কমেছে বেড়েছে জিপিএ - ৫ ও শতভাগ পাশের প্রতিষ্ঠান

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সোমবার প্রকাশিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে  পাশের হার কমেছে। তবে জিপিএ - ৫ ও শতভাগ পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সামান্য হলেও বেড়েছে।
 উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় সৈয়দপুর উপজেলার ১৬ টি মাদ্রাসা থেকে ৪১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী। ফেল করেছে ৭৮ জন। এতে পাশের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৮১ দশমিক শুন্য দুইভাগ। আর জিপিএ - ৫ পেয়েছে দুইটি মাদ্রাসা থেকে ৪ জন পরীক্ষার্থী।  সোনাখুলী মুন্সিপাড়া কামিল মাদ্রাসা ও শ্বাষকান্দর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দুইজন করে পরীক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। আর দুইটি মাদ্রাসা থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ম্রারাসা দুইটি হচ্ছে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাাসা। আর গত ২০১৮ সালে উপজেলার ১৬টি মাদ্রাসা থেকে ৪০০জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল ৩৪৪জন। আর ফেল করেছিল ৫৬ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ- ৫ পেয়েছিল দুইটি মাদ্রাসা থেকে তিনজন এবং শুধুমাত্র একটি মাদরাসা শতভাগ পাশের সাফল্য দেখিয়েছিল।
 এবারের উপজেলার মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে হাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৮ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ১০০%। সৈয়দপুর আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের সকলেই পাশ করেছে। পাশের হার ১০০%। সোনাখুলী মুন্সীপাড়া কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৪৩ জন। পাশ করেছে ৪২ জন। পাশের শতকরা হার ৯৭ দশমিক ৬৭ ভাগ।  জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। লক্ষণপুর বালাপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৯ জন পরীক্ষাথীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৮জন। পাশের হার ৯৬.৫৫%। চাপড়া কাশিরাম আলিম মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৩২জন। পাশ করেছে ৩০জন। পাশের হার ৯৩.৭৫%। আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম মাদ্রাাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৭জন। পাশের হার ৯০%। সৈয়দপুর রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ২৩জন। উত্তীর্ণ হয় ২০জন। পাশের হার ৮৬.৯৬%। হাজারীহাট মোহাম্মাদীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩২জন। পাশোর হার ৮২.০৫%। উত্তর সোনাখুলী সরকারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৩ জনে উত্তীর্ণ হয় ২৬ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৭৮.৭৯%। পোড়ারহাট সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৪১জন। পাশ করেছে ২৮জন। পাশের হার ৬৮.২৯%। মুশরুত ধুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয় ১০ জন। পাশোর হার ৬২.০৫%। শ্বাষকান্দর সিনিয়র মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৩১জন। উত্তীর্ণ হয় ১৯জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাশের হার ৬১.২৯%। কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১১জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৬১.১১%। কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসা ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭ জন। পাশের হার ৫৩.৮৫%। পশ্চিম বেলপুকুর মাঝাপাড়া বালিকা মাদ্রাসা পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ জন। উত্তীর্ণ হয় ৮জন। পাশোর হার ৫৩.৩৩। পূর্ব বেলপুকুর সাতপাই বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪জন পরীক্ষার্থীর পাশ করেছে ১জন। পাশোর হার ২৫%।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4340110789875650028

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item