সৈয়দপুর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা
https://www.obolokon24.com/2019/05/saidpur_49.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে যৌতুকলোভী স্বামী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম ইসমত আরা (২০)। এক কন্যা সন্তানের জননী ওই গৃহবধু বর্তমানে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইসমত আরার বাবার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়।
অভিযোগে জানা গেছে, উল্লিখিত এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে ইসমত আরার প্রায় আড়াই বছর আগে বিয়ে হয় লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান দুলুর সাথে। শ্বশুর রফিকুল ইসলাম মেয়ের বিয়ের সময় জামাতাকে তিন লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাইলে সে টাকা দিতে পারেননি সংসারের নানা অভাব-অনটনের কারণে। তাই বিয়ের পর স্ত্রী ইসমত আরাকে নিয়ে যাওয়ার পর আর বাবার বাড়িতে আসতে দেয়নি স্বামী মেহেদী। যৌতুকের তিন লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে না পাঠিয়ে সেখানে তাঁর ওপর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায় স্বামী মেহেদী। এ সময়ের মধ্যে তাদের এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ইসরাত জাহান ফারিয়া নামের ওই মেয়ের বর্তমানে বয়স এক বছর।
আর এরই মধ্যে ইসমত আরার দিনমজুর বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্ট ও ধারদেনা করে জামাতাকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা তুলেও দেন। আর বাকি টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় যৌতুকলোভী মেহেদি। এক পর্যায়ে গত তিন মাসে আগে মেহেদী তাঁর বাবার আবুল কাশেম আলীর সঙ্গে স্ত্রী ইসমত আরা ও তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে ইসমত আরা ও তাঁর মেয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
ঘটনার আগের দিন গত বুধবার মেহেদি হঠাৎ শ্বশুর বাড়ির পাশে ভগ্নিপতি আব্দুল মিয়ার (ট্রাক চালক) বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ইসমত আরা ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি চালায়। এ সময় ইসমত আবার পাশে থাকা তাঁর ছোট বোন রেশমী (৮) ঘটনাটি টের পেয়ে চিৎকার দেয়। তার আত্মচিৎকারে অন্য ঘরে থাকা বাবা-মা বের হয়ে এলে জামাতা মেহেদি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহƒত মোবাইল সেট ও একটি ব্যাগ পড়ে যায়। পরে গ্রামের অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত ইসমত আরাকে স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর গলায় আটটি সেলাই করতে হয়েছে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে তৃতীয় তলা নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে সৈয়দপুর হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের শয্যায় শুয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন ইসমত আরা। মুখ দিয়ে কোন কথা বলতে পারছিলেন। শুধুমাত্র ইশারায় তাঁর ওপর স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের ইঙ্গিত করছিলেন। এ সময় সেখানে ইসমত আরার বাবা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধি। তিনি বলেন, আমি একজন দিনমজুর। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরী করে কোন রকমে সংসার চালায়। মেয়ের সুখের জন্য অনেক কষ্ট ও ধারদেনার পর জামাতাকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দিতে পেরেছি। সে যৌতুকের আর টাকা দাবি করে। আমি এতো টাকা কোথায় পাব ? তিনি জামাতা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা জানান, গৃহবধূ ইসমত আরাকে তাঁর বাবার বাড়িতে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে যৌতুকলোভী স্বামী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম ইসমত আরা (২০)। এক কন্যা সন্তানের জননী ওই গৃহবধু বর্তমানে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ইসমত আরার বাবার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়।
অভিযোগে জানা গেছে, উল্লিখিত এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে ইসমত আরার প্রায় আড়াই বছর আগে বিয়ে হয় লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার উত্তর ডাউয়াবাড়ি গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান দুলুর সাথে। শ্বশুর রফিকুল ইসলাম মেয়ের বিয়ের সময় জামাতাকে তিন লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাইলে সে টাকা দিতে পারেননি সংসারের নানা অভাব-অনটনের কারণে। তাই বিয়ের পর স্ত্রী ইসমত আরাকে নিয়ে যাওয়ার পর আর বাবার বাড়িতে আসতে দেয়নি স্বামী মেহেদী। যৌতুকের তিন লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে না পাঠিয়ে সেখানে তাঁর ওপর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায় স্বামী মেহেদী। এ সময়ের মধ্যে তাদের এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ইসরাত জাহান ফারিয়া নামের ওই মেয়ের বর্তমানে বয়স এক বছর।
আর এরই মধ্যে ইসমত আরার দিনমজুর বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্ট ও ধারদেনা করে জামাতাকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা তুলেও দেন। আর বাকি টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় যৌতুকলোভী মেহেদি। এক পর্যায়ে গত তিন মাসে আগে মেহেদী তাঁর বাবার আবুল কাশেম আলীর সঙ্গে স্ত্রী ইসমত আরা ও তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে ইসমত আরা ও তাঁর মেয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
ঘটনার আগের দিন গত বুধবার মেহেদি হঠাৎ শ্বশুর বাড়ির পাশে ভগ্নিপতি আব্দুল মিয়ার (ট্রাক চালক) বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ইসমত আরা ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি চালায়। এ সময় ইসমত আবার পাশে থাকা তাঁর ছোট বোন রেশমী (৮) ঘটনাটি টের পেয়ে চিৎকার দেয়। তার আত্মচিৎকারে অন্য ঘরে থাকা বাবা-মা বের হয়ে এলে জামাতা মেহেদি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। সে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহƒত মোবাইল সেট ও একটি ব্যাগ পড়ে যায়। পরে গ্রামের অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত ইসমত আরাকে স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর গলায় আটটি সেলাই করতে হয়েছে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে তৃতীয় তলা নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে সৈয়দপুর হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের শয্যায় শুয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন ইসমত আরা। মুখ দিয়ে কোন কথা বলতে পারছিলেন। শুধুমাত্র ইশারায় তাঁর ওপর স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের ইঙ্গিত করছিলেন। এ সময় সেখানে ইসমত আরার বাবা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধি। তিনি বলেন, আমি একজন দিনমজুর। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরী করে কোন রকমে সংসার চালায়। মেয়ের সুখের জন্য অনেক কষ্ট ও ধারদেনার পর জামাতাকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দিতে পেরেছি। সে যৌতুকের আর টাকা দাবি করে। আমি এতো টাকা কোথায় পাব ? তিনি জামাতা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা জানান, গৃহবধূ ইসমত আরাকে তাঁর বাবার বাড়িতে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।