নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক উন্নয়ন কাজে সড়ক প্রশস্ত করনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
https://www.obolokon24.com/2019/05/nilphamari_25.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ॥ নীলফামারী-সৈয়দপুর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক একনেকে পাশ হওয়া নকসা অনুযায়ী সম্প্রসারণ কাজের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১২টার দিকে সচেতন নীলফামারী বাসীর ব্যানারে জেলা শহরের চৌরঙ্গীমোড়ে ঘন্টাব্যাপি ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সেখানে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন নীলফামারী মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রকৌঃ এসএম সফিকুল আলম, ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, জেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক বজলার রহমান, শ্রমিক নেতা গোলাম রহমান ডালু, আমজাদ হোসেন, চওড়াবড়গাছা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড় থেকে সৈয়দপুর ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত আর ৫৭০ নম্বর আঞ্চলিক মহাসক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ প্রকল্পটি একনেকে পাশ হয় ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ঠিকাদার নিয়োগ শেষে ২২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি দুটি গ্রুপে ভাগ করে উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৪০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কালিতলায় নীলফামারী বাস টার্মিনাল থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের মূল নকসা পরিবর্তন করে ৭০ ফিট থেকে প্রসস্ত কমিয়ে ৪০ ফিট প্রসস্তের প্রস্তাব করেছে নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রস্তাবনায় ওই দেড় কিলোমিটার সড়কে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা ছিল আট একর। সংশোধিত প্রস্তাবনায় সেটি কমিয়ে জমি অধিগ্রহনের পরিমান ধরা হয়েছে দুই দশমিক ৮০ একর।
বক্তারা বলেন, জেলা শহরের প্রতিনিয়ত যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ফলে সংকুচিত সড়কে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে শহরের পথচারীরা দূর্ভোগে পড়বেন। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল শহরবাসী। কিন্তু ব্যয় সংকোচনের নামে সড়ক বিভাগের এমন ষড়যন্ত্রে হতাশ সকলে। এসময় শহর এলাকায় সড়কটি ১০০ ফিটে উন্নীতের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সবশেষে জেলা প্রশাসকের বরাবরে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, পুর্বের ডিজাইনে কালিতলা থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে ৮ একর জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা থাকলেও অর্থ সাশ্রয় ও ভবন ও স্থাপনার ক্ষতি কমাতে তা কমিয়ে ২ দশমিক ৮০ একর জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এতে সড়ক সংকুচিত হবে না। সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত একই প্রসস্তের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
জমি অধিগ্রহনের পরিমান কমানোর বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ২২৫ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে একশ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হলেও জমি অধিগ্রহনে লাগছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমরা যখন প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম তখন জমির দাম কম ছিল। এখন দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন করছি না। ভবিষ্যতে যানবাহনের চাপ কমাতে আমরা শহরের বাইপাস সড়কের উন্নয়ন কাজ করবো। #
মানববন্ধন শেষে সেখানে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন নীলফামারী মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রকৌঃ এসএম সফিকুল আলম, ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, জেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক বজলার রহমান, শ্রমিক নেতা গোলাম রহমান ডালু, আমজাদ হোসেন, চওড়াবড়গাছা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড় থেকে সৈয়দপুর ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত আর ৫৭০ নম্বর আঞ্চলিক মহাসক প্রশস্ত ও মজবুতিকরণ প্রকল্পটি একনেকে পাশ হয় ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ঠিকাদার নিয়োগ শেষে ২২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি দুটি গ্রুপে ভাগ করে উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৪০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কালিতলায় নীলফামারী বাস টার্মিনাল থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের মূল নকসা পরিবর্তন করে ৭০ ফিট থেকে প্রসস্ত কমিয়ে ৪০ ফিট প্রসস্তের প্রস্তাব করেছে নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রস্তাবনায় ওই দেড় কিলোমিটার সড়কে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা ছিল আট একর। সংশোধিত প্রস্তাবনায় সেটি কমিয়ে জমি অধিগ্রহনের পরিমান ধরা হয়েছে দুই দশমিক ৮০ একর।
বক্তারা বলেন, জেলা শহরের প্রতিনিয়ত যানবাহনের চাপ বাড়ছে। ফলে সংকুচিত সড়কে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে শহরের পথচারীরা দূর্ভোগে পড়বেন। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল শহরবাসী। কিন্তু ব্যয় সংকোচনের নামে সড়ক বিভাগের এমন ষড়যন্ত্রে হতাশ সকলে। এসময় শহর এলাকায় সড়কটি ১০০ ফিটে উন্নীতের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সবশেষে জেলা প্রশাসকের বরাবরে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম হামিদুর রহমান বলেন, পুর্বের ডিজাইনে কালিতলা থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে ৮ একর জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা থাকলেও অর্থ সাশ্রয় ও ভবন ও স্থাপনার ক্ষতি কমাতে তা কমিয়ে ২ দশমিক ৮০ একর জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এতে সড়ক সংকুচিত হবে না। সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত একই প্রসস্তের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
জমি অধিগ্রহনের পরিমান কমানোর বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ২২৫ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে একশ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হলেও জমি অধিগ্রহনে লাগছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমরা যখন প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম তখন জমির দাম কম ছিল। এখন দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন করছি না। ভবিষ্যতে যানবাহনের চাপ কমাতে আমরা শহরের বাইপাস সড়কের উন্নয়ন কাজ করবো। #