জনবল সংকটে চালু হয়নি নীলফামারীর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নব নির্মিত ভবন
https://www.obolokon24.com/2019/05/nilphamari.html
বিশেষ প্রতিনিধি॥ জনবল সংকটে চালু হচ্ছেনা নীলফামারী সদর আধুনিক সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নবনির্মিত সাততলা ভবনটি। এদিকে, জায়গার অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০০ শয্যার পুরনো হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের। বর্তমানে চমৎকার ডিজাইনের হাসপাতালের সাততলা ভবনটি শুধুই শোভাবর্ধন করছে। জনবল নিয়োগ হলে যেকোন সময় নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেলা শহরের কলেজ সড়কে ১৯৮৫ সালে সাড়ে সাত একর জমির ওপর প্রথমে নির্মাণ করা হয়েছিল ৫০ শয্যা হাসপাতাল। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর দাবির মুখে ২০০৩ সালে হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে জনবল থেকে ওই ৫০ শয্যা হাসপাতালের। আন্তঃবিভাগ বাদে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে পাঁচ শতাধিক থেকে ৭ শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে।
এদিকে ১০০ হাসপাতাল হলেও নেই সেই জনবল। ফলে ৫০ শয্যার জনবলে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ডেন্টাল ও হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সহ ১৪জন। আন্তঃবিভাগে পুরুষ, মহিলা, শিশু ও গাইনী ওয়ার্ডে গড়ে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ২৭০ জন রোগী। বিছানার সংখ্যা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিনই মেঝে থেকে শুরু করে বারান্দায়ও কষ্ট করে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নেন।
এছাড়াও সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্সের পদও শুন্য রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, গাইনী ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড, চক্ষু ওয়ার্ড, নবজাতক ওয়ার্ড, লেবাররুম, জেনারেল ওটি, চক্ষু ওটি, এএনসি, ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ ১৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ড চলছে ২৭ জন নার্স দিয়ে।
এ অবস্থায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষনা দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলে টেন্ডারের মাধ্যমে ৭ তলা ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়।
জানা যায়, ৭তলা ভবন নির্মান ও হাসপাতালে সকল আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৭ কোটি ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ টাকা। ফলে এই ভবন সহ সকল প্রকার স্থাপনের কাজ ২০১১ সালের জুলাই শুরু হয়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে শেষ হয়। তবে নতুন ভবন নির্মান সহ আড়াইশত শয্যা হাসপাতাল চালু করার সকল প্রকার সুবিধা তৈরী করে এর বাস্তবায়নকারী নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগ চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ভবনটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের আড়াইশত শয্যা হাসপাতালটি চালু করনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে জনবলের চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়। এরমধ্যে বিদ্যমান ১২৮টি পদ যোগ রেখে নতুন করে আরো ১৩৪ জন সহ ২৬২ জন, চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে বর্তমান ২২টি পদের সঙ্গে আরো ৩৬ জন সহ ৫৮ জন। সকল পদের নার্স চাওয়া হয়েছে ৮০ জন।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মনের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা জনবলের জন্য চাহিদা পত্র প্রেরন করেছি। জনবল নিয়োগ হলেই নতুন ভবনে কার্যক্রম যে কোন মুহুর্তে শুরু করা সম্ভব হবে। #
জেলা শহরের কলেজ সড়কে ১৯৮৫ সালে সাড়ে সাত একর জমির ওপর প্রথমে নির্মাণ করা হয়েছিল ৫০ শয্যা হাসপাতাল। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর দাবির মুখে ২০০৩ সালে হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে জনবল থেকে ওই ৫০ শয্যা হাসপাতালের। আন্তঃবিভাগ বাদে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে পাঁচ শতাধিক থেকে ৭ শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে।
এদিকে ১০০ হাসপাতাল হলেও নেই সেই জনবল। ফলে ৫০ শয্যার জনবলে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ডেন্টাল ও হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সহ ১৪জন। আন্তঃবিভাগে পুরুষ, মহিলা, শিশু ও গাইনী ওয়ার্ডে গড়ে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন ২৭০ জন রোগী। বিছানার সংখ্যা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিনই মেঝে থেকে শুরু করে বারান্দায়ও কষ্ট করে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নেন।
এছাড়াও সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্সের পদও শুন্য রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, গাইনী ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড, চক্ষু ওয়ার্ড, নবজাতক ওয়ার্ড, লেবাররুম, জেনারেল ওটি, চক্ষু ওটি, এএনসি, ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ ১৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ড চলছে ২৭ জন নার্স দিয়ে।
এ অবস্থায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষনা দেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলে টেন্ডারের মাধ্যমে ৭ তলা ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়।
জানা যায়, ৭তলা ভবন নির্মান ও হাসপাতালে সকল আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৭ কোটি ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ টাকা। ফলে এই ভবন সহ সকল প্রকার স্থাপনের কাজ ২০১১ সালের জুলাই শুরু হয়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে শেষ হয়। তবে নতুন ভবন নির্মান সহ আড়াইশত শয্যা হাসপাতাল চালু করার সকল প্রকার সুবিধা তৈরী করে এর বাস্তবায়নকারী নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগ চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ভবনটি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের আড়াইশত শয্যা হাসপাতালটি চালু করনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে জনবলের চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়। এরমধ্যে বিদ্যমান ১২৮টি পদ যোগ রেখে নতুন করে আরো ১৩৪ জন সহ ২৬২ জন, চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে বর্তমান ২২টি পদের সঙ্গে আরো ৩৬ জন সহ ৫৮ জন। সকল পদের নার্স চাওয়া হয়েছে ৮০ জন।
এ ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মনের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমরা জনবলের জন্য চাহিদা পত্র প্রেরন করেছি। জনবল নিয়োগ হলেই নতুন ভবনে কার্যক্রম যে কোন মুহুর্তে শুরু করা সম্ভব হবে। #