ডোমার বসুনিয়ার হাটে টোল আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>নীলফামারীর ডোমাওে অধিকাংশ হাটবাজার গুলোর ইজারাদারের বিরুদ্ধে টোল আদায়ে সরকারী নীতিমালা নামানার অভিযোগ উঠেছে।এতে ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ প্রতারিত হলেও এ যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে,সরকারী হাটবাজার সমূহের টোল আদায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্র্তৃক দৃশ্যমান স্থানে নীতিমালাও  টোল আদায়ের মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নিয়ম থাকলেও বসুনিয়া হাটে তা দেখা যায়নি। গতকাল সোমবার (১৩ই মে )দুপুরে বসুনিয়ার হাটে গরুর বাজাওে গিয়ে দেখা যায়,গরু,মহিষ,ঘোড়া,উটপ্রতি ক্রেতার নিকট থেকে সর্Ÿোচ্চ ২১০টাকা টোল নেয়ার নিয়ম থাকলেও নেয়া হচ্ছে  ৪ শত টাকা। রশিদে ক্রেতার নাম ও ঠিকানা বিক্রয়কৃত পশুর বর্ণনা লেখা থাকলেও আদায়কৃত  টাকার অংক লেখা হচ্ছেনা।তাদের নিজেদের ছাপানো গরু বিক্রয়ের টোল আদায়ের রশিদে কৌশলে আদায়কৃত টাকার অংক লেখার ঘর রাখা হয়নি। স্থানীয়দেও মতে প্রতি হাটে এখানে দুই থেকে ৩শত গরু/মহিষ বেচাঁ কেনাহয়।এ হিসাবে বছরে গরুরহাট থেকেই প্রায় ২৫লক্ষ টাকার বেশী প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছেন ওই ইজারাদার। প্রতিটি ছাগল ৬০ টাকা হারে নেয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে নেয়া হচ্ছে ১৫০টাকা এমন অনিয়ম এখানে নিত্য নিয়মে পরিণত হয়েছে।ইজারাদারের নির্দেশনায় ছেলে মোঃ হাসান এরশাদুল হাসিব দিপু ও ভাতিজা হাসিম হায়দার অপু গত ১৫ এপ্রিল হাট চালুর পর থেকে এমন অনিয়ম করছে বলে একাধিক ভুক্তভোগী প্রতিবেদককে জানিয়েছে।তবে এ সকল অভিযোগ বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দুজনেই। এ চিত্র শুধু বসুনিয়ার পশুর হাটেই নয়,কাঁচাবাজার,থেকে খাঁজা,মুড়ি ও নাপিতের দোকান সকল স্থানেইএনামুল হাসিবের (এনামদার)  ছেলে মোঃ হাসান এরশাদুল হাসিব দিপু ও ভাতিজা হাসিম হায়দার অপুর নিয়ন্ত্রনে।তাদেও অনিয়মের থাবায় ঐতিহ্যবাহী বসুনিয়াহাটটি সুনাম হারাতে বসেছে এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। কাঁচাবাজারের মরিচের হাটে গিয়ে দেখাযায়,যেখানে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী মরিচ মন প্রতি ক্রেতাদেও কাছে ০৯ টাকা হারে নেয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে ৪০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।মরিচ বেঁচতে আসা কৃষক আফিজার বলেন,আমি ১ মন মরিচ বেঁচতে এসে ৪০টাকা হাসিল দিতে হলো।৩০টাকা দিতে চেয়েছি তারা নেয়নি।ওই হাটে পশু কিনতে আসা ভুক্তভোগী ডোমার পৌর এলাকার কাজীপাড়ার জুয়েল প্রতিবেদককে জানান,আমি খাটুরিয়ার বসুনিয়ারহাট থেকে একটি গরুকিনেছি।আমার কাছে হাসিল বাবদ ৪২০ টাকা নিয়েছে ইজারাদার। আমার জানামতে গরুপ্রতি ২১০ টাকা নেয়ার কথা। একই অভিযোগ করেন,ডোমারের বিশিষ্ট সমাজ সেবক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব। তিনি বলেন,বসুনিয়া হাটে টোল আদায়ে প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম তদারককারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির চরম নিদর্শন। এমন অনিয়ম শুধ ুখাটুরিয়ার বসুনিয়ার হাটেই নয় উপজেলার সকল হাঁটবাজার গুলোতে এই অবস্থা বিরাজ করছে।এ বিষয়ে ইজারাদাদের মনোনিত আদায়কারী বৈশাখ,সোয়েব,রেজোয়ান,খালেক,জিয়া,লিটন প্রতিনিধিকে জানান,ইজারাদারের নির্দেশে এই নিয়মে টোল আদায় করছি। এখানে আমাদেও কিছু করার নাই।এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার এনামুল হাসিব এনামের ০১৭১২৬৪২০১৬ নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। পওে একাধিকবার চেষ্টাকরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননাই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ফাতিমা বলেন,বসুনিয়ারহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7997394676287144351

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item