আমিরাতকে হারিয়ে বাংলাদেশের মিশন শুরু
https://www.obolokon24.com/2019/04/women-football.html
ডেস্ক-বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের আমন্ত্রিত পাঁচ দলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্টের ফেভারিট দল কে? সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া সব দলের মুখেই এসেছে একটা নাম। বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া আমিরাতের মেয়েরা হেরেছে এই ব্যবধানেই। গোলাম রব্বানী ছোটনের ছাত্রীরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই তাদের মিশন শুরু করেছে। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন সিরাত জাহান স্বপ্না এবং কৃষ্ণা রানী সরকার।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে সন্ধ্যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আরব আমিরাতকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। চেনা প্রতিপক্ষকেই প্রথম পরীক্ষায় পেয়েছিল মৌসুমীরা।
গোল পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় লিড নেয় বাংলাদেশ। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা সিরাত জাহান স্বপ্না আলতো টোকায় আমিরাতের জালে বল জড়িয়ে দিলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রব্বানীর ছাত্রীরা। দুই মিনিট পর কৃষ্ণার আরেকটি একক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঠিকমতো বলে শট নিতে না পারলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় আমিরাতের মেয়েরা। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহার গোলবারে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে বাধা পেলে লিড দ্বিগুণ করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
৩০ মিনিটের মাথায় দলের দ্বিতীয় গোল করেন কৃষ্ণা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেন তিনি। তাতে বল দ্বিতীয়বার আমিরাতের জালে জড়ালে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় আবারো কৃষ্ণার ঝলক। শামসুন্নাহার বল বাড়িয়ে দেন কৃষ্ণাকে। সেখান থেকে ওয়ান টু ওয়ানে আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদ মালালাকে পরাস্ত করতে পারেননি কৃষ্ণা। নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পড়ে গেলেও শট নিয়েছিলেন, তবে আমিরাতের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়নি। ৪০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ মিস করেন দলপতি মৌসুমী। উড়ে আসা বলে পা লাগালেও সেটি জালের বাইরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
প্রথমার্ধের শেষ ৫-৬ মিনিট আমিরাতের মেয়েদের নাজেহাল করে ছাড়ে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। ৪৪ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহারকে ঘিরে ধরে আমিরাতের ৪ ডিফেন্ডার, সেখান থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও শট নিতে পারেননি তিনি। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে আখি খাতুনের নেওয়া দূরপাল্লার শট গোলবারের উপরে লেগে বেরিয়ে যায়। আর কোনো গোল না ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টাইগ্রেসরা।
বিরতির পর ম্যাচের ৪৮ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহারের জোরালো শট রুখে দেন আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদ। ৫০ মিনিটের মাথায় মনিকা চাকমার আরেকটি জোরালো শট আটকে দেন ওয়ালিদ। প্রথমার্ধের মতোই দ্বিতীয়ার্ধেও অলস সময় কাটাতে হয় বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে। ৬০ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আখি খাতুন। একেবারের ফাঁকায় বল পেলেও শট নেবেন কী নেবেন না এই দ্বিধায় ঠিকমতো বলে শট নিতে পারেননি। নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস হয় বাংলাদেশের।
৬৮ মিনিটের মাথায় কৃষ্ণার আক্রমণ রুখে দেয় আমিরাতের ডিফেন্স। ৭০ মিনিটে আবারো গোলের সম্ভাবনা জাগালেও কৃষ্ণা হেড করতে ব্যর্থ হন। ৭৩ মিনিটের মাথায় বদলি খেলোয়াড় মার্জিয়ার দূরপাল্লার শট জমা হয় আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদের গ্লাভসে। ৭৫ মিনিটের মাথায় দলপতি মৌসুমীর শটও রুখে দেন ওয়ালিদ। ৮০ মিনিটে মৌসুমীর আরও একটি শট ঝাপিয়ে রুখে দেন আমিরাতের গোলরক্ষক। ৮১ মিনিটে বাংলাদেশের কোচ ছোটন স্বপ্নাকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান সাজেদাকে। মাঠে নামার এক মিনিট পরেই গোল পেতে পারতেন সাজেদা। ঠিকঠাক প্লেসিং করতে না পারায় গোল পাওয়া হয়নি। ফিরতি বলে মৌসুমী শট নিতে এলে সাজেদার সঙ্গে বোঝাপড়া না হওয়ায় গোল পায়নি বাংলাদেশ।
অফসাইটের কারণে বাংলাদেশের আরও একটি গোল হয়নি। যদিও বল আমিরাতের গোললাইন অতিক্রম করেছিল কী না বোঝা মুশকিল ছিল। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে মার্জিয়ার শট গোলবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময়ে বাংলাদেশ স্কোর করতে না পারলে জয়ের ব্যবধান বাড়েনি। ২-০ গোলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে টাইগ্রেসরা।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী কিরগিজস্তান। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে লড়াই করবে মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস। বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ২৬ এপ্রিল কিরগিজদের বিপক্ষে। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল হবে সেমিফাইনাল। ফাইনাল হবে ৩ মে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে সন্ধ্যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের। গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আরব আমিরাতকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। চেনা প্রতিপক্ষকেই প্রথম পরীক্ষায় পেয়েছিল মৌসুমীরা।
গোল পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় লিড নেয় বাংলাদেশ। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা সিরাত জাহান স্বপ্না আলতো টোকায় আমিরাতের জালে বল জড়িয়ে দিলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রব্বানীর ছাত্রীরা। দুই মিনিট পর কৃষ্ণার আরেকটি একক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঠিকমতো বলে শট নিতে না পারলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় আমিরাতের মেয়েরা। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহার গোলবারে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে বাধা পেলে লিড দ্বিগুণ করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।
৩০ মিনিটের মাথায় দলের দ্বিতীয় গোল করেন কৃষ্ণা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেন তিনি। তাতে বল দ্বিতীয়বার আমিরাতের জালে জড়ালে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায় আবারো কৃষ্ণার ঝলক। শামসুন্নাহার বল বাড়িয়ে দেন কৃষ্ণাকে। সেখান থেকে ওয়ান টু ওয়ানে আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদ মালালাকে পরাস্ত করতে পারেননি কৃষ্ণা। নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পড়ে গেলেও শট নিয়েছিলেন, তবে আমিরাতের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায়নি। ৪০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ মিস করেন দলপতি মৌসুমী। উড়ে আসা বলে পা লাগালেও সেটি জালের বাইরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
প্রথমার্ধের শেষ ৫-৬ মিনিট আমিরাতের মেয়েদের নাজেহাল করে ছাড়ে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। ৪৪ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহারকে ঘিরে ধরে আমিরাতের ৪ ডিফেন্ডার, সেখান থেকে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও শট নিতে পারেননি তিনি। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে আখি খাতুনের নেওয়া দূরপাল্লার শট গোলবারের উপরে লেগে বেরিয়ে যায়। আর কোনো গোল না ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টাইগ্রেসরা।
বিরতির পর ম্যাচের ৪৮ মিনিটের মাথায় শামসুন্নাহারের জোরালো শট রুখে দেন আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদ। ৫০ মিনিটের মাথায় মনিকা চাকমার আরেকটি জোরালো শট আটকে দেন ওয়ালিদ। প্রথমার্ধের মতোই দ্বিতীয়ার্ধেও অলস সময় কাটাতে হয় বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে। ৬০ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আখি খাতুন। একেবারের ফাঁকায় বল পেলেও শট নেবেন কী নেবেন না এই দ্বিধায় ঠিকমতো বলে শট নিতে পারেননি। নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস হয় বাংলাদেশের।
৬৮ মিনিটের মাথায় কৃষ্ণার আক্রমণ রুখে দেয় আমিরাতের ডিফেন্স। ৭০ মিনিটে আবারো গোলের সম্ভাবনা জাগালেও কৃষ্ণা হেড করতে ব্যর্থ হন। ৭৩ মিনিটের মাথায় বদলি খেলোয়াড় মার্জিয়ার দূরপাল্লার শট জমা হয় আমিরাতের গোলরক্ষক ওয়ালিদের গ্লাভসে। ৭৫ মিনিটের মাথায় দলপতি মৌসুমীর শটও রুখে দেন ওয়ালিদ। ৮০ মিনিটে মৌসুমীর আরও একটি শট ঝাপিয়ে রুখে দেন আমিরাতের গোলরক্ষক। ৮১ মিনিটে বাংলাদেশের কোচ ছোটন স্বপ্নাকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান সাজেদাকে। মাঠে নামার এক মিনিট পরেই গোল পেতে পারতেন সাজেদা। ঠিকঠাক প্লেসিং করতে না পারায় গোল পাওয়া হয়নি। ফিরতি বলে মৌসুমী শট নিতে এলে সাজেদার সঙ্গে বোঝাপড়া না হওয়ায় গোল পায়নি বাংলাদেশ।
অফসাইটের কারণে বাংলাদেশের আরও একটি গোল হয়নি। যদিও বল আমিরাতের গোললাইন অতিক্রম করেছিল কী না বোঝা মুশকিল ছিল। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে মার্জিয়ার শট গোলবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময়ে বাংলাদেশ স্কোর করতে না পারলে জয়ের ব্যবধান বাড়েনি। ২-০ গোলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে টাইগ্রেসরা।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী কিরগিজস্তান। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে লড়াই করবে মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও লাওস। বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ২৬ এপ্রিল কিরগিজদের বিপক্ষে। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল হবে সেমিফাইনাল। ফাইনাল হবে ৩ মে।