ঠাকুরগাঁও সীমান্তে নাগর নদীর তীরে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা-ভিডিও
https://www.obolokon24.com/2019/04/thakurgaon_15.html
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীঁমান্তে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল।
ঠাকুরগাঁও বিজিবি ৩০ ব্যাটালিয়নের অধীনে হরিপুর উপজেলার কারীগাঁও মলানী, ডাববী, বেতনা, বুজরুক, হরিপুর এবং ভারতের শ্রীপুর, নারগাঁও, ফুলবাড়ি, কাতারগঁঞ্জ ও বোররা সীঁমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপার-ওপার সোমবার সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হতে থাকে। এবার দুই বাংলায় পয়লা বৈশাখ একদিন আগে পরে হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতি বছর দু-দেশের হাজার হাজার মানুষ তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য হরিপুর উপজেলার ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৬৮, ৩৬৯, ৩৭০, ৩৭১, ৩৭২ ও ৩৬২ নম্বর পিলার এলাকায় ভিড় জমায়।
দেখা ও কথা না হওয়া পর্যন্ত কাঁটাতারের দু’পারেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে দু-দেশের স্বজনরা।
এবার সোমবার সকালে কাঁটাতারের দু-পারেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষকে। কাঁটাতারের গেট না খুললেও বিএসএফের উপস্থিতিতে দু’পাশ্বে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সাথে দেখা ও কথা হয়। আদান-প্রদান করা হয় নানা রকমের খাদ্য সামগ্রী।
স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসা নাগর নদীর পাড়ে কথা হয় জেলা সদর থেকে আসা দানচান্দ, ববিতা রানি, দিনাজপুরের সবুর, কার্তীক, বমেস, শ্রী মন্দা, নীলফামারি জেলার সুফল চাঁদ, নারাবসু, সরল কেনথ, ইখিরানী পঞ্চগড়ের জিতেন,গোবিন্দগঞ্জের তমাবসাক, তনুরানী পীরগঞ্জের আলীম, মমিনার সাথে কথা হয় তারা জানান, ভারতে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্যই তারা বাংলা নববর্ষের দিন নাগর নদীর পাড়ে আসেন। এই দিনটির জন্য প্রতিবছর তারা অপেক্ষা করেন বলেও জানান।
এই বিষয়ে হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুলজ্জামান বলেন, বাংলা নববর্ষে নাগর নদীর তীরে, মানুষের জন্য সকল প্রকারের আইন-শৃঙ্খলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় মেলাটি সুনামের সাথে প্রতিবছরই বসে থাকে তাই অন্যান্য বারের মতো এবারেও কোনরূপ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই মেলা শেষ হয়েছে।