সৈয়দপুরে এক মাদরাসায় চাকুরী নিয়ে যত কথা

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়া
ইসলামিয়া মাদরাসায়, মাদরাসা কমিটির কোন রকম রেজুলেশন বা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়াই গোপনে অফিস সহকারী নিয়োগের চেষ্টা চালানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করার প্রাক্কালে পেছনের তারিখ দিয়ে নিয়োগের রেজুলেশন তৈরী করে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিতে গিয়ে জনৈক সদস্যের অসম্মতির কারণে বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে এমন অনিয়মের মধ্য দিয়েই উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তার  ছেলেকে নিয়োগ দিতে চাপ অব্যাহত রেখেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে মাদরাসাটির অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদটি শুন্য রয়েছে। এ সুযোগে ওই পদে নিজের ছেলেকে চাকুরী নিয়ে দিতে তৎপর হয়। ইতোপুর্বে ওই পদে দায়িত্বপালনকারী বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা. শাহজাদা সরকার। মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম গত ১৯ মার্চ ২০১৯ দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের সোনালী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা হতে ৫শ’ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করার জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী ডা. শাহজাদা সরকারের ছেলে রুবেল আমিনসহ তাদের  নিজস্বদের মধ্যে আরও ৩ জন আবেদন করে। যাতে রুবেল আমিনকে সহজেই নিয়োগ দেয়া যায়।
এ ব্যাপারে মাদরসার সুপার শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই নিয়োগ নিয়ে আমি প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সভাপতির চাপে রেজুলেশন না করেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি। সেসময় সভাপতি বলেছিলে রেজুলেশন সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া পরে করা হবে। ইতোমধ্যে গত ৬ এপ্রিল ডা. শাহজাদা সরকার, তার ছেলে রুবেল আমিন, রশিদুল, ভায়রা ভাই আকবর সহ বেশ কয়েকজন মাদরসায় এসে নিয়োগ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এসময় তাদের প্রতিবাদ করলে তারা অশ্রাব্য কথাবার্তা বলে আমাকে শাসিয়ে যায়।
এদিকে মাদরাসার সভাপতি মো: মজিবর রহমান বলেন, ডা. শাহজাদা সরকার এই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরী করেছেন। সেই সাথে তাদের পৌত্রিক সম্পত্তিতে মাদসরাটি গড়ে উঠেছে। একারণে তার ছেলেকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। সে অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। ডা. শাহজাদা বলেন, নিয়োগটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সভাপতি ও সুপারের ব্যাপার। চাপ দেয়া বা সরকারী দলের নেতা হিসেবে ক্ষমতা দেখানোর কোন বিষয় সঠিক নয়। পৌত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এবং পূর্বে ওই পদে আমি নিজে চাকুরী করায় পৌষ্য কোটায় চাকুরী দেয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছি মাত্র। #

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3999413480897352448

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item