সৈয়দপুরে রেলওয়ে জমিতে গড়ে ওঠা বৈধ ও অবৈধ স্থাপনার হালনাগাদে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী)  প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে জমিতে গড়ে ওঠা বৈধ ও অবৈধ স্থাপনার হালনাগাদ তালিকা তৈরি করার জন্য  গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি বিভাগ গত বুধবার ওই গণবিজ্ঞপ্তি জারিপূর্বক শহরে লিফলেট বিলি ও মাইকিং করে। এতে রেলওয়ে শহর সৈয়দপুরে রেলওয়ে ভূমিতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে চরম উচ্ছেদ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
  রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের  গণবিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়,  বাংলাদেশ  রেলওয়ের সৈয়দপুর  স্টেশন এলাকার আওতাধীন রেলওয়ের ভূমিতে গড়ে ওঠা সকল বৈধ ও অবৈধ স্থাপনার হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। আগামী ২২ এপ্রিল থেকে  রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা  মৌখিকভাবে নিদের্শে ওই কার্যক্রম শুরু হবে। রেলওয়ের ভূ- সম্পত্তি বিভাগের লোকজন রেলওয়ে জমিতে বৈধ ও অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল দোকানে দোকানে ও বসতবাড়িসহ যাবতীয় স্থাপনায়  হাজির হবেন এবং বর্তমান দখলসহ হালসনের লাইসেন্স ফি পরিশোধের কাগজপত্র সংগ্রহ করবেন। যে সকল দখলদারগণ দখলের স্বপক্ষে রেলওয়ে কর্তৃক প্রদত্ত কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হবেন হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করার সময় ওই সব দোকানঘর ও বসতবাড়িতে ‘লাল’ কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন দেওয়া হবে এবং দখলীয় দোকানঘর/বসতবাড়ি  কোন কাগজপত্র নেই মর্মে অবৈধ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। পরবর্তীতে অবৈধ দখলদারগণকে ১৯৭০ সালের ২৪নং জরুরী অধ্যাদেশের ৫নং বিধির উপ-বিধির (২) উপ-বিধি মোতাবেক উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ও দখলকালীন সময়ের জন্য সরকারি প্রাপ্য আইন অনুসারে উচ্ছেদের যাবতীয় খরচ দখলদারের নিকট হতে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে
  সৈয়দপুর েেপৗরসভার সঙ্গে রেলওয়ের বিরোধীয় ভূমি ও আটকেপড়া পাকিস্তানি (উর্দূভাষী) ক্যাম্পের জন্য নির্ধারিত এলাকা হালনাগাদ তালিকা তৈরির বাইরে থাকবে। ওই গণবিজ্ঞপ্তি পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কর্তৃক জারি করা হয়েছে। আর ওই গণবিজ্ঞপিÍ জারি করায় সৈয়দপুর শহরের মানুষের মধ্যে ওই উচ্ছেদ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
সৈয়দপুরে কর্মরত রেলওয়ের পূর্ত দপ্তরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তবে ভূ-সম্পত্তির বিষয় তার দপ্তরের আওতাভূক্ত নয়। ওই ঘোষণা সংশ্লিষ্ট ভূ-সম্পত্তি বিভাগের বলে উল্লেখ করেন তিনি।
 বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী গণবিজ্ঞপ্তি জারির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়  রেলপথ মন্ত্রী রেলওয়ে জমিতে অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে নজর দিয়েছেন। রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তির খাজনা আদায়ের মাধ্যমে রেলওয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেলওয়ে জমির বৈধ ও অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরির ঘোষণা জারি করা হয়েছে। যারা রেলওয়ে জমিতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যারা বৈধভাবে আছেন তাদের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথম দফায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অভিযান শুরু হবে, এরপর  সৈয়দপুরে পরিচালিত হবে তালিকা তৈরির অভিযান। অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
 প্রসঙ্গত, দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা নীলফামারীর সৈয়দপুর অবস্থিত।  আর এ শহরে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জায়গায় জমি রয়েছে। যার অধিকাংশেরও বেশিই দখলে চলে গেছে স্থানীয়দের। এ সব এলাকার মধ্যে রয়েছেশহরের গোলাহাট, রসুলপুর, মুন্সিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ইসলামবাগ, আতিয়ার কলোনী, সাহেবপাড়া, রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ও অফিসার্স কলোনী, নিচু কলোনীহাতিখানা। এসব জমির সিংহভাগই দখলদাররা জবর দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করছে। এ সব রেলওয়ের জমিতে পাকা কাঁচা দোকানপাট ও বসতবাড়ি তৈরি করে বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6054357068891070067

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item