কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে সৈয়দপুরে বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর. খোলা আকাশের নিচে বসেই ক্লাস

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: 
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসে ক্লাস করছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গভীর রাতে প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালটির শ্রেণী কক্ষের টিনের ঘর পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে করে বিদ্যালয়ের  ছাত্রছাত্রীদের খোলা আকাশে নিচে বসেই ক্লাস করতে হচ্ছে।
 জানা  গেছে,  সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকায় বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র ক্রয় করে দেওয়া জমিতে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়। মূলতঃ এলাকার শিক্ষানুরাগী ও বর্তমানে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ রাবেয়া আলীমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। আর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ রাবেয়া আলীম বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত আছেন। শুরু থেকে বিদ্যালয়টি গুনগত ও মানসম্পন্ন  প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে কোলাহলমুক্ত নিরিবিলি পরিবেশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি দক্ষ পরিচালনা কমিটির তদারকি এবং কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যুগোপযোগী ও মানসম্মত পাঠদানের জন্য ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ওপর দিয়ে প্রচন্ড কারবৈশাখী বয়ে যায়। এতে শহরের বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির টিনের শ্রেণী কক্ষগুলো পড়ে  সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার থেকে বিদ্যালয়ের বিকল্প শ্রেণী কক্ষের ব্যবস্থা না থাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণীকক্ষে মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বেঞ্চে বসে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
 এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সারথী রানী রায় জানান, গত মঙ্গলবারের বৈশাখী ঝড়ে শ্রেণীকক্ষগুলো মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে শ্রেণীকক্ষগুলোর টিনের চালা ও বেড়া একেবারে দুমড়েমুচড়ে গেছে।  পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষ না থাকায় অনেকটাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করাতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহ্জাহান মন্ডল জানান, বঙ্গবন্ধু বিদ্যালয়টি বেসরকারি হলেও আমরা সরকারিভাবে বিনামূল্যের বই সরবরাহসহ সার্বিক দেখভাল করি। শুরু থেকেই বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক। আমরা বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করনের জন্য প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আশা করি অতি শিগগিরই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়ে যাবে।  

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1871222963566590922

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item