সৈয়দপুরে একই দিনে দুইটি লাশ উদ্ধার
https://www.obolokon24.com/2019/04/saidpur_12.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একই দিনে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চটপটি বিক্রেতা । অপরজন স্কুল ছাত্র। তন্মধ্যে চটপটি বিক্রেতা এমদাদুল হকের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয় পৌর এলাকা ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়ার তাঁর বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। আর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউপির খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্র মিঠুন চন্দ্র রায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ দুইটি অপমৃত্যুর ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা চপটটি বিক্রেতা এমদাদুল হককে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদুলের মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার স্থানীয় থানায় ওই লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়া মৃত. নসির উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল হক। পেশায় তিনি একজন চটপটি বিক্রেতা। প্রতিবেশি সম্পর্কে চাচা ওসমান গণীর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল তাঁর। আর এ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একটি মামলা নীলফামারী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ঘটনার দিন গত বুধবার এমদাদুল হককে মামলা মীমাংসা করার কথা বলে বিকেলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জনৈক মালেক। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরদিন গত বৃহস্পতিবার বাড়ি পিছনে একটি গাছে এমদাদুলের লাশ ঝুলতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে সাধারণ ডায়েরীমূলে অপমৃত্যু মামলা দায়ের পূর্বক এমদাদুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমদাদুলকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতের বড় মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার প্রতিপক্ষ ৯ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ওই অভিযোগ করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহান পাশা অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন নিহত এমদাদুল হকের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এদিকে, একই দিন মিঠুন চন্দ্র রায়ের (১৭) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার তাপস চন্দ্র রায়ের ছেলে সে। জানা যায়, মিঠুনর চন্দ্র রায় মাদকাসক্ত ছিল । ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে সে মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর মা তাকে টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে সে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মিঠুন বেনীরহাট আমানতুল্লাহ্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একই দিনে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চটপটি বিক্রেতা । অপরজন স্কুল ছাত্র। তন্মধ্যে চটপটি বিক্রেতা এমদাদুল হকের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয় পৌর এলাকা ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়ার তাঁর বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। আর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউপির খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্র মিঠুন চন্দ্র রায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ দুইটি অপমৃত্যুর ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা চপটটি বিক্রেতা এমদাদুল হককে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদুলের মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার স্থানীয় থানায় ওই লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়া মৃত. নসির উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল হক। পেশায় তিনি একজন চটপটি বিক্রেতা। প্রতিবেশি সম্পর্কে চাচা ওসমান গণীর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল তাঁর। আর এ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একটি মামলা নীলফামারী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ঘটনার দিন গত বুধবার এমদাদুল হককে মামলা মীমাংসা করার কথা বলে বিকেলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জনৈক মালেক। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরদিন গত বৃহস্পতিবার বাড়ি পিছনে একটি গাছে এমদাদুলের লাশ ঝুলতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে সাধারণ ডায়েরীমূলে অপমৃত্যু মামলা দায়ের পূর্বক এমদাদুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমদাদুলকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতের বড় মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার প্রতিপক্ষ ৯ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ওই অভিযোগ করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহান পাশা অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন নিহত এমদাদুল হকের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলেই পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এদিকে, একই দিন মিঠুন চন্দ্র রায়ের (১৭) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার তাপস চন্দ্র রায়ের ছেলে সে। জানা যায়, মিঠুনর চন্দ্র রায় মাদকাসক্ত ছিল । ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে সে মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর মা তাকে টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে সে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মিঠুন বেনীরহাট আমানতুল্লাহ্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।