সংবাদ সম্মেলনে দাবি-আত্মহত্যা নয়, চটপটি বিক্রেতা ইমদাদুলকে হত্যা করা হয়েছে
https://www.obolokon24.com/2019/04/saidpur92.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকা ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়ার চটপটি বিক্রেতা ইমদাদুল হক আত্মহত্যা নয়, বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদুলের মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশি জনৈক ওসমান গণীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছিল। আর এ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে জেরে প্রতিপক্ষই তাঁর বাবাকে প্রায় সময় নানা রকম হুমকিধমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এ অবস্থায় আমার বাবা নিরাপত্তার জন্য বিগত ২০১২ সালে প্রতিপক্ষ ওসমান গণীর বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় একটি মামরা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা রায় আমাদের পক্ষে এলে প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় আমার বাবা নিরাপদে বসবাসের জন্য আমাদের বসতভিটাসহ বাড়ি বিক্রির মনস্থির করেন। পরবর্তীতে সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের বাড়ি বিক্রি বায়নাপত্রও সম্পন্ন হয়। আর এরই মধ্যে গত ১০ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে আমার বাবাকে প্রতিবেশি জনৈক মালেক মামলা মীমাংসা করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আমরা সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও আমার বাবা হদিস পায়নি। পরদিন আমার বাবার লাশ বাড়ির পেছনের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে লোকজন চিৎকার করেন। নিহত ইমদাদুলের পরিবারের দাবি প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার করে এবং আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য তাঁর লাশ বাড়ির পেছনে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখেন। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠান। ময়না তদন্ত শেষে সাধারণ ডায়েরীমূলে সৈয়দপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের পর বাবার লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় ১১ এপ্রিল রাতে আমি নিজে বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। ওই সময় পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। কিন্তু আমার ওই অভিযোগটি নথিভুক্ত করেননি সৈয়দপুর থানা পুলিশ অদ্যাবদি। উল্টো তারা (পুলিশ) বলছেন আমার বাবা নাকি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নাকি আত্মহত্যার আলামত মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্তেজা আরো অভিযোগ করেন আমাদের প্রতিপক্ষরা প্রভাব ও সম্পদশালী। আর নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আমার প্রতিপক্ষ ওসমান গণীর নিকটাত্মীয়। তাই ওই আরএমও তাঁর আত্মীয়কে রক্ষা করতে আমাদের বিপক্ষে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদুলের মেয়ে ইন্তেজা তাঁর বাবা আত্মহত্যা করেনি,বরং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর বাবার হত্যা মামলা নধিভূক্ত করে সঠিক তদন্তসাপেক্ষে খুনিতে সনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইমমাদুলের স্ত্রী তাছলিমাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকা ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়ার চটপটি বিক্রেতা ইমদাদুল হক আত্মহত্যা নয়, বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদুলের মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশি জনৈক ওসমান গণীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ছিল। আর এ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে জেরে প্রতিপক্ষই তাঁর বাবাকে প্রায় সময় নানা রকম হুমকিধমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এ অবস্থায় আমার বাবা নিরাপত্তার জন্য বিগত ২০১২ সালে প্রতিপক্ষ ওসমান গণীর বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় একটি মামরা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা রায় আমাদের পক্ষে এলে প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় আমার বাবা নিরাপদে বসবাসের জন্য আমাদের বসতভিটাসহ বাড়ি বিক্রির মনস্থির করেন। পরবর্তীতে সাদ্দাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের বাড়ি বিক্রি বায়নাপত্রও সম্পন্ন হয়। আর এরই মধ্যে গত ১০ এপ্রিল (বুধবার) বিকেলে আমার বাবাকে প্রতিবেশি জনৈক মালেক মামলা মীমাংসা করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আমরা সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও আমার বাবা হদিস পায়নি। পরদিন আমার বাবার লাশ বাড়ির পেছনের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে লোকজন চিৎকার করেন। নিহত ইমদাদুলের পরিবারের দাবি প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার করে এবং আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য তাঁর লাশ বাড়ির পেছনে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখেন। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠান। ময়না তদন্ত শেষে সাধারণ ডায়েরীমূলে সৈয়দপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের পর বাবার লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় ১১ এপ্রিল রাতে আমি নিজে বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। ওই সময় পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। কিন্তু আমার ওই অভিযোগটি নথিভুক্ত করেননি সৈয়দপুর থানা পুলিশ অদ্যাবদি। উল্টো তারা (পুলিশ) বলছেন আমার বাবা নাকি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নাকি আত্মহত্যার আলামত মিলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্তেজা আরো অভিযোগ করেন আমাদের প্রতিপক্ষরা প্রভাব ও সম্পদশালী। আর নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আমার প্রতিপক্ষ ওসমান গণীর নিকটাত্মীয়। তাই ওই আরএমও তাঁর আত্মীয়কে রক্ষা করতে আমাদের বিপক্ষে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদুলের মেয়ে ইন্তেজা তাঁর বাবা আত্মহত্যা করেনি,বরং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর বাবার হত্যা মামলা নধিভূক্ত করে সঠিক তদন্তসাপেক্ষে খুনিতে সনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইমমাদুলের স্ত্রী তাছলিমাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।