রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলার জঙ্গি আস্তানায়’ কমপক্ষে ২ জন নিহত
https://www.obolokon24.com/2019/04/rab.html
অনলাইন ডেস্ক
আজ সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ের একটি বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। পরে আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।পরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে সেটিতে কমান্ডো অভিযান শুরু করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বাড়িটির ভেতরে সন্দেহভাজন একাধিক জঙ্গি অবস্থান করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
পরে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে। তিনটি পা দেখা গেছে। এখনো আস্তানা আগুনে জ্বলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কেউ জঙ্গিবাদে জড়ালে ছাড় দেয়া হবে না।
আজ সোমবার সকালে টিনশেড ওই বাড়ি ঘিরে অভিযানের মধ্যেই র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভেতরে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ভেতরে তল্লাশি করছে। সুইপিং শেষ হলে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য ওই বাড়ির মালিক ওয়াহাব, কেয়াটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী এবং পাশের মসজিদের ইমাম ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
র্যাব-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পাওয়ার পর রবিবার রাত ৩টার দিকে মেট্রো হাউজিংয়ে ৮ নম্বর রোডের ওই টিনশেড বাসাটি ঘিরে ফেলে র্যাব সদস্যরা। অভিযান শুরুর পরপরই ওই বাসার ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি হয় সেখানে। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বড় একটি বিস্ফোরণে ওই বাসার টিনের চাল উড়ে যায়।
সকাল ৯টার পর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢোকে। ওই সময়ও সেখান থেকে কয়েক দফা গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে ড্রোন উড়িয়ে ভেতরের পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগ র্যাব কর্মকর্তাদের বলেছেন, ওই টিনশেড বাসার চার কক্ষের মধ্যে একটি ঘর মাসখানেক আগে ভাড়া নেয় দুই যুবক অন্য তিন ঘরে আগে থেকৈই তিনটি পরিবার থাকত। ওই বাসার পাশে কিছু দিন আগে একটি মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। আটক ইউসুফ ওই মসজিদেরই ইমাম।