চিলাহাটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভুলে ভরা গ্রামার বইয়ের ব্যবসা জমজমাট

এ আই পলাশ,চিলাহাটি প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু অসাধু শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা অধিক টাকার লোভে নি¤œমানের গ্রামার ও ব্যকরণ বই বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বাধ্যতা মূলক কোমলমতি ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সেই নকল গ্রামার বই নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে আসছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এলিট গ্রামার ও ব্যাকরণ বই যার মূল্য ২০০ টাকা সেই বই কিনতে হবে ৭০০ টাকা এভাবেই প্রতি শ্রেণীর দাম বৃদ্ধি করে ৯ম শ্রেণীর এলিট গ্রামার ও ব্যকরণ ৪০০ টাকা যা কিনতে হবে ১২০০ টাকা। এতে করে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এবং আগামি দিনে শিক্ষার মানকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু শিক্ষক। এত করে এলাকার অভিভাবকবৃন্দ তাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। জানা গেছে, ডোমার উপজেলার বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ও পরীক্ষার ফি বাবদ উদ্বিদ টাকা নিয়ে আসছে। এরই মধ্যে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম-এর ছত্রছায়ায় থেকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি শিক্ষক রোকোনুজ্জামান ডোমার উপজেলার এক লাইব্রেরির সঙ্গে গোপন চুক্তি করে চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এলিট গ্রামার ও ব্যকরণ বই নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকবৃন্দ ছেলে-মেয়েদের মুখে শিক্ষকের চাপ সৃষ্টির কথা চিন্তা করে স্থানীয় লাইব্রেরিতে এলিট গ্রামার ও ব্যকরণ বইটি খুজতে গিয়ে দেখা যায় বইটির মোড়ক দেখে মনে হয় খুবই ভাল গ্রামার। আসলে এই গ্রামার ও ব্যকরণ বইয়ের ভেতরে কিছুই নেই। এই গ্রামার ও ব্যকরণ বইটির ভেতরে যে সমস্ত গ্রামাটিকাল নিয়ম রয়েছে তা সম্পূর্ন রূপে নকল। অথচ বাজারে বিভিন্ন বড় বড় লেখকের গ্রামার ও ব্যকরণ বই রয়েছে। সেই বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না চালিয়ে শিক্ষকরা নিজেদের অধিক মুনাফার লোভে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এরেই সূত্র ধরে গত ৮ই এপ্রিল চিলাহাটি মার্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোকোনুজ্জামান তার ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের এলিট গ্রামার ও ব্যকরণ বই না নেওয়ার কারণে সবাইকে গণহারে পিটিয়েছে। এ ব্যপারে উক্ত দিনেই উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের বিভিন্ন অভিভাবকরা স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এরেই প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি মূল ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে ভিন্নমত পোষন করেন। অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য বর্তমান সরকার যখন শিক্ষার মানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েদের আগামি দিনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে, ঠিক সেই মূহুর্তে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা শূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু শিক্ষক।//// 

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8336360190175930179

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item