ডোমার নেসকোর জনবল সংকটের কারণে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের দূর্দশা
https://www.obolokon24.com/2019/04/nesco.html
এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগ নেসকোর জনবল সংকটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহগকে। একটু ঝড়োহাওয়া হলেই ২৫ থেকে ৩০ ঘন্টা এমনকি ২/৩ দিনও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। এ ব্যপারে ডোমার বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে তাদের অভিযোগের শেষ নেই। তাছাড়া ডোমার উপজেলায় এই বিদ্যুৎ বিভাগের গ্রাহকদের দুর্দশা এটি কোন নতুন কথা নয়। গত ১৭ই এপ্রিল ২০১৯ ইং প্রথম প্রহর রাত ১২ টার দিকে আকর্ষিকভাবে একটু ঝড়োহাওয়া শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। পরের দিন কড়া রোদের গরমে মানুষের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। আর বিদ্যুৎ বিভাগের কমপ্লিন নাম্বারটি বন্ধ করে রাখে। সাধারণ গ্রাহকরা অফিসের সঙ্গে বিদ্যুৎ আসার ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে তারা একেক সময় একেক কথা বলে গ্রাহকদের। আর সেই বিদ্যুৎ চালু হয় ১৮ই এপ্রিল ২০১৯ইং রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে। এই ধরনের ঘটনা বরাবরেই ঘটে আসছে। এর মূল কারণ ডোমার বিদ্যুৎ বিতরন কেন্দ্র নেসকোর আওতায় ডোমার-ডিমলা সহ আংশিক দেবিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। সেই তুলনায় বিদ্যুৎ লাইনে কোন সমস্যা হলে দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের কোন লাইন ম্যান ও হেলপার নেই। এই জনবল সংকট নিয়ে এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে তালবাহানা করে চলছে। বর্তমানে বেশিভাগ সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজ দিয়েই গ্রাহকদের সান্তনা দিয়েই আসছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রথমেই বিদ্যুতের উপর জোর দিয়ে প্রতিটি বাড়ীতে বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অথচ এই ডোমার উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা দিশেহারা। পাশাপাশি এই এলাকায় পল্লি-বিদ্যুতের লাইন চালু রয়েছে। সেই লাইনের কোন গ্রাহকদের দূর্ভোগ নেই। ইতিমধ্যে নেসকোর অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহক নেসকো থেকে পল্লি-বিদ্যুতে লাইন সংযোগ নিয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মন্তব্য পল্লি-বিদ্যুতের লাইন যদি ঝড়োহাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারে , তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের নেসকো কেন পারে না। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা দরকার। তাহলে হয়তো নেসকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কিছুটা হলেও উন্নত সেবা পাবে।