কিশোরগঞ্জে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক নির্মাণ কাজ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন হাজির বাড়ি হইতে শুর করে খামার গাড়াগ্রাম  দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যানবাহন চলাচলে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে থানা বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর পক্ষে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসিবুজ্জামান হাসিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও পল্লী বিদ্যুতের  কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বরারব খুটিটি সরানোর জন্য আবেদন করলেও কতৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি।
শনিবার লিখিত অভিযোগ সুত্রে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন হাজির বাড়ি থেকে খামার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫শ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এলজিইডির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের কাজ করছেন নীলফামারী জেলা শহরের  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ডাবলু শাহ। সড়কটির নির্মাণ কাজে বক্য্রকাটিং শেষে ডাব্লিউভিএম কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে কিন্তু সড়কে বিদ্যুতের খঁটি রয়ে গেছে।

সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ডাবলু শাহ বলেন, আমি সড়ক থেকে খুঁটিটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতের কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএমকে বলেছি। 
উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, খুটিটি সরানোর বিষয়ে আমিও পল্লী বিদ্যুতের সাথে কথা বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটিটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার কাজী মোঃ সেফাত রেজা ইবনে হক বলেন, খুঁটিটি সরাতে গেলে অনেক খরচ লাগবে। ঠিকাদার খরচ বহন করতে না চাওয়ায় খুটিটি সরানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার খরচের ব্যাবস্থা করতে চেয়েছে। তিনি খরচ জমা দিলেই খুটি সরানো হবে।