প্রশ্নফাঁস রোধে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

 অনলাইন ডেস্ক



শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। আশা করা যায় কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াই এবার এইচএসসি পরীক্ষা শেষে হবে।
আজ সোমবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 তিনি বলেন, ছাপাখানায় প্রশ্ন ছাপা হয়। তার পর এটা আর কেউ দেখেন না। বোর্ডের কেউ দেখেন না, মন্ত্রণালয়ের কেউ দেখেন না, কেউ দেখেন না। এই বিষয়গুলো জনগণের কিন্তু আসলে সেভাবে জানা নেই।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যত বিশাল কর্মযজ্ঞই হোক, সবার যদি সহযোগিতা থাকে, তা হলে সেই কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।’
প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কোনোভাবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে নানা ধরনের কোচিং সেন্টার রয়েছে। তবে আমরা সেগুলো আলাদা করতে পারেনি। এ কারণে আজ ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৬ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কোচিং সেন্টারের সঙ্গে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন, তাদের কারণেই সব কোচিং সেন্টার বন্ধের এই ঘোষণা।
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর সংস্থা ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল ১০টা থেকে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার দেশের নয় হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৮৭ হাজার নয়জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন।
এই পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন।
এবার দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৭৫ জন। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অটিজমসহ বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে, এমন শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া যাবে।
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ মে। এর পর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1388797272845254682

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item