লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে ৩ টি পরিবার সর্বস্ব পুড়ে ছাই! আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
https://www.obolokon24.com/2019/04/fire_28.html
নূর আলমগীর অনুঃ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে বিদ্যুৎতের সট সার্কিট থেকে উৎপন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিনটি পরিবারের সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে তিন সহোদর ভাইয়ের ২১ টি বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, জায়গা জমির দলিলপত্রসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার মালামাল ভস্মিভুত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।
২৭ শে এপ্রিল শনিবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া বারাজান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ এবং আদিতমারী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ২ ঘন্টাধরে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় চলবলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে না পারলেও তার সহোদর ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে সহোযোগিতায় আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘটনা সম্পর্কে তিনি দৈনিক মুক্তির প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাটি লোকমুখে শুনে ছুটে এসেছি। এবং যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এতে আমরা মর্মাহত।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষে সন্ধ্যা ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কমল কৃষ্ণ সরকার। তিনি ঘটনার বিস্তারিত শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদকে অবহিত করেছি। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক ও বড়ভাই আব্দুল করিম (৪৩) পিতা মৃত হাজী সোবহান সাং তেঁতুলিয়া বারাজান। তিনি অনেক আবেগপ্লাবুত হয়ে জানান, আমি আমার পিতার কোন স্মৃতিচিহ্ন কেই রক্ষা করতে পারলাম না। বিদুৎ এর সট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমি ও আমার সহোদর দু' ছোটভাই আব্দুর রহমান (৩৫), মো সাত্তার (৩০) এর ২১ টি বসবাসের ঘর,নগদ টাকা সহ সবর্স্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। বাবার বড় ছেলে হয়েও কোনোকিছুই রক্ষা করতে পারলাম না। পারিনি নিজের কিছু রক্ষা করতে, পারলাম না ছোট ভাইদের কিছু রক্ষা করতে। আমাদের চোঁখের সামনেই সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বলতে বলতে তার চোঁখে পানি আর হতাশ হতে দেখা যায়।
প্রতক্ষদর্শী বাড়ির পাশের প্রতিবেশি এনামুল (৬০) পিতা মৃত নেছার উদ্দিন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ তের আগুন প্রথমে ঘরে লেগে চারিদিকে দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়লে আমরা তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিস এ খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস টিম এলাকা চিহৃত করতে কিছুটা সময় লাগে। তবুও সামান্য সময় পরে দু ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে এবং দু ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পরিবার ৩ টি এখন নিঃশ্ব অবস্থা। এতবড় ক্ষয়ক্ষতি এলাকায় এই প্রথম ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
২৭ শে এপ্রিল শনিবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া বারাজান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ এবং আদিতমারী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ২ ঘন্টাধরে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় চলবলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে না পারলেও তার সহোদর ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে সহোযোগিতায় আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘটনা সম্পর্কে তিনি দৈনিক মুক্তির প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাটি লোকমুখে শুনে ছুটে এসেছি। এবং যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এতে আমরা মর্মাহত।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষে সন্ধ্যা ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কমল কৃষ্ণ সরকার। তিনি ঘটনার বিস্তারিত শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদকে অবহিত করেছি। তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক ও বড়ভাই আব্দুল করিম (৪৩) পিতা মৃত হাজী সোবহান সাং তেঁতুলিয়া বারাজান। তিনি অনেক আবেগপ্লাবুত হয়ে জানান, আমি আমার পিতার কোন স্মৃতিচিহ্ন কেই রক্ষা করতে পারলাম না। বিদুৎ এর সট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমি ও আমার সহোদর দু' ছোটভাই আব্দুর রহমান (৩৫), মো সাত্তার (৩০) এর ২১ টি বসবাসের ঘর,নগদ টাকা সহ সবর্স্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। বাবার বড় ছেলে হয়েও কোনোকিছুই রক্ষা করতে পারলাম না। পারিনি নিজের কিছু রক্ষা করতে, পারলাম না ছোট ভাইদের কিছু রক্ষা করতে। আমাদের চোঁখের সামনেই সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বলতে বলতে তার চোঁখে পানি আর হতাশ হতে দেখা যায়।
প্রতক্ষদর্শী বাড়ির পাশের প্রতিবেশি এনামুল (৬০) পিতা মৃত নেছার উদ্দিন। তিনি জানান, বিদ্যুৎ তের আগুন প্রথমে ঘরে লেগে চারিদিকে দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়লে আমরা তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিস এ খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস টিম এলাকা চিহৃত করতে কিছুটা সময় লাগে। তবুও সামান্য সময় পরে দু ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে এবং দু ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পরিবার ৩ টি এখন নিঃশ্ব অবস্থা। এতবড় ক্ষয়ক্ষতি এলাকায় এই প্রথম ঘটেছে বলেও জানান তিনি।