কিশোরীগঞ্জে ব্রীজের কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদারের পলায়ন,অনিশ্চতার মধ্যে ব্রীজের নির্মাণ কাজ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরীগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার কাচারীর হাট ভায়া বাবরীঝাড় সড়কের চাঁড়ালকাটা নদীর পারঘাট ঘাটের উপর ২৫২ মিটার ব্রীজ নির্মাণ কাজের নির্ধারিত সময়ের ৯ মাস পেড়িয়ে গেলেও ব্রীজটির তিনভাগের এক ভাগ কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অপর দিকে গত দুই মাস থেকে ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় ব্রীজটি নির্মানে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ  ও সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কাচারীর হাট ভায়া বাবরীঝার সড়কের চাড়ালকাঁটা নদীর পারঘাট ঘাটের উপর ২৫২ মিটার ব্রীজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় যশোর সেন্টাল রোডের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এস ইসলাম ট্রেডার্স।  ব্রীজটি নির্মাণের জন্য সরকারী চুক্তিমুল্য ধরা হয় ১৫ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৬২৬ টাকা। কনট্রাক্ট এমাউন্ট ধরা হয় ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৭৯৮ টাকা ৫২৩ পয়সা। কাজটির ওয়ার্ক ওডার দেয়া হয় গত ২০১৭ সালের ফেব্রয়ারী মাসের ৫ তারিখ। কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ফেব্রয়ারী মাসের ১২ তারিখ। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৮ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখ। কিন্তু নিধারিত সময়ের ৯ মাস পেড়িয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ব্রীজের তিনভাগের এক ভাগ কাজও শেষ করতে পারেনি। ফলে ব্রীজটি নির্মাণে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্রীজটির পাইল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণে ৬ টি স্প্যাম তৈরী করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫ টি স্প্যাম নির্মাণ শেষ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, রশিদ মিয়া , আখতারুল মিয়া ও দুল মিয়াসহ সকলেই বলেন, ওই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমরা দুই উপজেলার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ নীলফামারীর কৃতি সন্তান আসাদুজ্জামান নুর এমপি মহোদ্বয়ের সাথে যোগাযোগ করে সরকারের কাছে ব্রীজটির নির্মাণের আবেদন জানিয়েছিলাম। ব্রীজটি নির্মাণ হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানষের দীর্ঘদিনের কষ্ঠ লাঘব হবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখে পালিয়ে  যাওয়ায় ব্রীজটি নির্মাণে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার নাইম ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের সাথে ঝামেলার কারনে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আপনাকে এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারবনা।
ঠিকাদার তারিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই আমি একটু অসুস্থ এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলব।
উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে ব্রীজের কাজ পুণরায় শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজ শুরু না করলে কাজ বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8537462947096769184

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item