পীরগাছায় গাজর চাষে লাভবান চাষীরা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজর এক প্রকার মূল জাতীয় সবজি। রোগ বালাই কম, স্বপ্ল খরচ, উৎপাদন বেশি ও ভাল দাম পাওয়ায় গাজর চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে রংপুরের পীরগাছার গাজর চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, গাজরের আবাদ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন চাষীরা আগ্রহী হচ্ছে। গাজর চাষে জমি প্রস্তুত করতে ৫/৬টি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। এরপর জৈব সার, পটাশ ইউরিয়া দিয়ে জমি প্রস্তুত করে নিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ৯০দিনের মধ্যে গাজরের আবাদ হয়ে থাকে। এ সবজিতে রোগ বালাই কম। প্রতি বিঘায় প্রায় ১শত ২০ মণ পর্যন্ত গাজর উৎপাদন হয়ে থাকে। উপজেলার  অন্নদানগন ইউনিয়নের হরিচরণ পাড়ার কৃষক আব্দুল হক জানান, বেশ কয়েক বছর আগে এ এলাকার লোকজনের গাজর সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না। আমি প্রথম আমার জমিতে গাজর চাষ করে ভাল ফলন ও ভাল দাম পাই। এর পর থেকে এলাকার একাধিক কৃষক গাজর চাষাবাদ শুরু করেন ও লাভবান হচ্ছেন।
গৃহিনী নুরনাহার বেগম বলেন, গাজর শুধু তরকারিতে নয়, সালাত পিঠা হালুয়া ও পায়েস তৈরী করে খাওয়া যায়। গাজর গ্যাসের জন্য উপকারী।
 ছাওলা ইউনিয়নের জগজীবন গ্রামের কৃষক  আকবার আলী বলেন, এবার আমি কিছু জমিতে গাজর চাষ করি। গাজর চাষে খরচ কম। প্রতি বিঘায় প্রায় ১২০/১৫০ মণ পর্যন্ত গাজরের উৎপাদন হয়ে থাকে। উৎপাদন ভালো ও দাম ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি। আগামী বছরে আরো বেশি পরিমানে জমিতে গাজর চাষ করবো।
 এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ায় তারা গাজর চাষের দিকে ঝুকছে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, গাজর চাষে খরচ কম লাভ বেশি তাই কৃষকরা গাজর চাষে দিন দিন আগ্রহী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান জানান, গাজর একটি বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উচ্চ পুষ্টিমান সবজি। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আগামী বছর গাজর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5627604395301206657

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item