পীরগঞ্জে দপ্তরী নিয়োগে উৎকোচ গ্রহন! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ

মামানুর রশীদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
পীরগঞ্জের পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দপ্তরী কাম প্রহরী’ নিয়োগে দু’প্রার্থীর কাছে কয়েক লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা ও সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগটি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৭৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ‘দপ্তরী কাম প্রহরী’ নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৩০ বছর বয়সী ৮ম শ্রেনী পাশ বেকাররা চাকরীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য ইউএনওকে উপজেলা বাছাই ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়। নিয়োগটির আওতায় উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার ৪ জন আবেদন করেন। এরমধ্যে আবেদনকারী আহসান হাবিবকে চাকরী দেয়ার শর্তে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা ৮ লাখ টাকা উৎকোচ দাবী করে। এতে সে অপরাগতা প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষিকা অপর চাকরী প্রত্যাশী সাদ্দাম হোসেনের কাছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেয়। অপরদিকে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতিও অপর প্রার্থী রাসেল মিয়ার কাছে মোটা অংকের উৎকোচ নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগকারী চাকরী প্রত্যাশী আহসান হাবিবের বাবা আব্দুল মজিদ সরকার বলেন, সরকার মেধার ভিত্তিতে চাকরী দিবে। এতে তো ৮/১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার কথা নয়। প্রধান শিক্ষিকা আমার কাছে ৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেছিল। সাদ্দামের কাছে তার (প্রধান শিক্ষিকা) ঘুষ নেয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। আমিসহ এলাকাবাসী এর বিচারসহ স্বচ্ছভাবে নিয়োগ চাই। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম দম্ভোক্তি করে বলেন, আমি টাকা নিয়েছি, তার কোন প্রমান নেই। কি লেখার আছে, লেখেন। অপরদিকে সভাপতি হাবিবুর রহমান সফল উৎকোচ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসীর কাছে প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়ার জন্য এক প্রার্থীর কাছে উৎকোচ নিয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষিকা কোন প্রার্থীর কাছে উৎকোচ নেয়নি বলে আমার কাছে দাবী করেছেন। উৎকোচ প্রদানকারী কেউই এ কথা স্বীকার করেনি। ইউএনও টিএমএ মমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে দু’বার নিয়োগের তারিখ ঘোষণা হলেও উৎকোচ নেয়ার অভিযোগে উপজেলার ৭৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ স্থগিত করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7355867936785601728

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item