উলিপুরে জাল বিএড সনদপত্র দাখিল করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির অভিযোগ

আশিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ 
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলাধীন কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজে স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোঃ রেজাউল করিম সহকারি প্রধানশিক্ষক পদে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ১১/০৩/১৭খৃীঃ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১২/০৩/১৭খৃীঃ কৃষ্ণমঙ্গল স্কুলে যোগদান করেন। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একটি অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে মোঃ রেজাউল করিমের বিএড সনদপত্রটি জাল ও ভূয়া মর্মে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ হতে নিশ্চিত হন। গত ২৬/০২/১৯খৃীঃ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইং এর সহকারী পরিচালক মোঃ সবুজ আলম স্বাক্ষরিত একটি কারন দর্শাও নোটিশ সহকারী প্রধানশিক্ষক রেজাউল করিম বরাবরে প্রেরন করে দশ(১০) কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশনা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষা অধিদপ্তরে তার জবাবপত্র দাখিলের তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং মোটা অংকের অর্থ দিয়ে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জাল সনদের বিষয়টি রফাদফা করেছেন বলে গুন্জন শুনা যাচ্ছে। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ২১৪/৪জি-৩০৮৪-ম/২০১৩/৬৭২তাং২৬/০২/২০১৯খৃীঃ প্রেরিত পত্রে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, জনাব মোঃ রেজাউল করিম সহকারী প্রধানশিক্ষক পদে এমপিওভূক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন।উপপরিচালক রংপুর অঞ্চল রংপুর গত ০৯/০৭/২০১৭খৃীঃ তারিখ তার বিএড সনদ যথাযথ কিনা এমন প্রশ্নে এমপিও প্রস্তাব বাতিল করেন।এর প্রেক্ষিতে মোঃরেজাউল করিম ইনডেক্সন নং ১০০৩১১৯ এর দাখিলকৃত বিএড সনদ রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা কর্তৃক ইস্যুকৃত আইডি -০৩০২১১৩৫৩২ ফলাফল ৩.৫০ সন২০১৪.।জানুয়ারি /২০১৮ সালে অনলাইনে এমপিওভুক্ত হন।উল্লেখিত বিএড সনদ যাচাই করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রয়েল ইউনিভার্সিটিকে পত্র দেয়া হয়।রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা পত্র নং জটউ/ঊীধস-পবৎঃ.ঠবৎরভু/২০১৭১৮/ঝ-জ-২১৮/ঋ/ঝখ-৪৪;তারিখ ২১/০৭/২০১৮খৃীঃ মোতাবেক মোঃরেজাউল করিমের বিএড সনদটি আনঅথেনটিক বলে মতামত দিয়েছেন এবং তাকে ভূয়া ছাত্র বলে উল্লেখ করেন।
গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ ১৯৯৫ খৃীঃ প্রতিষ্ঠিত হলেও মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যকর্ম ও পথচলা ১৯৭০ খৃীঃ।অত্রাঞ্চলে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে বিবেচ্য হলেও বর্তমানে শিক্ষামান দুর্বল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। স্কুলের মোট শিক্ষক ১৩ জন এবং শিক্ষার্থী ২৫০ জন। গত বছর ২০১৮ সালে এসএসসি পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৪ তন্মধ্যে পাশ করেছেন ১৯ জন,জিপিএ- ৫ নেই।এবার ২০১৯ সালে এসএসসি পরিক্ষার্থী ৩২ জন। অভিযুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ রেজাউল করিম তার অফিসকক্ষে বসেই তথ্যগুলো দিচ্ছিলেন,এক পর্যায়ে জাল বিএড সনদপত্র সংক্রান্ত পত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি এটাকে তথ্যগত ভুল বলে দাবী করলেও প্রতিবেদককে এ বিষয়ে চুপচাপ থাকতে অনুরোধ করেন। কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মাহামুদ হাসান সরকার ছুটিতে আছেন,মুঠোফোনেও সুইচ অফ ফলে তার বক্তব্য পাওয়া গেলোনা।উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রবের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ সংক্রান্ত কিছুই জানেন না ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও প্রেরিত পত্রের কোন অনুলিপি তিনি পান নাই বলে জানান।
শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের জাল সনদপত্রে নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়ে ছাত্র অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন মোঃ রেজাউল করিম জাল/ভুয়া বিএড সনদ দাখিল করে সহকারি প্রধানশিক্ষক পদে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত হয়ে অনৈতিক বিবেক বর্জিত কাজ করেছেন এবং সরকারি অর্থ আত্তসাত করেছেন। তার বর্নিত কার্যবলি আইন বিরোধি,জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ১৮-১(ঙ) লঙ্ঘন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6880779767449526789

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item