সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) সংবাদদাতা 
১৯ দিনের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্তানের মা শাহীনা আক্তার। রোববার বিকেলে নীলফামারীর মিডিয়া হাউজে সংবাদ সম্মেলণ করে এ দাবী জানান তিনি। শাহীনা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর কাছারীরহাট গ্রামের মৃত জাফর আহমেদের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীনা বলেন,“মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বছরের পাঁচ জুন একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে ইছা রুহুল্লার সাথে বিয়ে হয় আমার। সে সময় রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় ছোট ভাই আনিছুর রহমানের বাসায় থাকতাম আমি। বিয়ের পর থেকে সেই বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো ইছা। এর কিছুদিনের মধ্যে আমি অন্তঃসত্ত্বা হই”।
শাহীনা আরো অভিযোগ করে বলেন,“ আমার গর্ভবতী হবার খবর শোনার পর থেকে ইছা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করে। এমনকি গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বারবার চাপ দেয়। আমি তাতে রাজী না হলে সে আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়”।
শাহিনা বলেন, “সর্বশেষ সে গত বছরের আট সেপ্টেম্বর আমার ঢাকার বাসায় গিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ি ফেরার পর থেকে একেবারই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে সে। এরপর শ্বাশুরীর অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে তার (স্বামীর) বাড়িতে গেলে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার স্বামীর ও তার বড় স্ত্রী (সতীন) সালমা আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে পরে আমাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে নয় দিন চিকিৎসা নেই”।
এদিকে এ ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারী ২০০০ সালের ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইনে স্বামী ইছা রুহুল্লাহ ও সতীন সালমা বেগমসহ চারজনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা করি। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ আদালতে চার্টশীট প্রদান করছে না।
এরই মধ্যে গত ১৩ মার্চ আমার গর্ভের সন্তান ভুমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তার বাবা তার এই সন্তানকে অস্বীকার করছেন। আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমার বাচ্চাটা যেন এতিম না হয় এজন্য আপনারা আমার জন্য কিছু করেন।
এ বিষয়ে শাহীনার স্বামী ইছা রুহুল্লাহ বলেন, “আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করায় বিয়ের নয় দিন পর ১৫ জুন আমি তাকে তালাক দেই। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের চার অক্টোবর নিতাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয়ে একটি শালিশ বৈঠক হয়। সেখানে শাহীনাকে কিছু শর্ত দেয়া হলেও সে তা পূরণ করেনি।  তালাক দেবার পর সে এখন আমার স্ত্রী নয়। এমনকি তার গর্ভের সন্তান আমার কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে”।
শালিসের কথা স্বীকার করে নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান বলেন,“এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হলেও কোন সমাধান ছাড়াই শেষ হয় আলোচনা। তাছাড়া শাহীনার গর্ভে সন্তান থাকায় তালাকের বিষয়েও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি”।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম হারুন অর রশিদ বলেন, মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীনার মা আরজিনা আহমেদ ও চাচাতো ভাই আক্তারুজ্জামান দুলু উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5008615184860319951

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item