কিশোরগঞ্জ টেংগনমারী সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন এমপি আদেল


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় টেংগনমারী কিশোরগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় বৃহস্পতিবার দুপুরে  সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন নীলফামারী ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ)আসনের এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল। এসময় সড়কটির নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে সড়কে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে  সড়কটির নির্মাণ কাজে  বক্সকাটিং করার পর , ইমপ্রুফ সাবগ্রেট ও সাববেজ করার সময় নি¤œমানের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ওই সড়কে ৫ টি আর সিসি কার্লভাট নির্মাণে রড ও পাথরের কাজে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, টেংগনমারী থেকে কিশোরগঞ্জ থানামোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ১২ ফিট প্রস্থ্যের সড়কটি ১৮ ফিটে উন্নিত করার জন্য ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৬ টাকা বরাদ্দ ধরে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।   এ প্রকল্পের  উদ্ধোধন করা হয়  ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর।  কাজ শুরু করার কথা ছিল ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শুরু না করে কালক্ষেপন করে কাজ শুরু করেন ২০১৯ সালের ফ্রেব্রয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে।  এতে করে এলাকাবাসীর  ভোগান্তি বাড়ছে  বলে অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার লোকজন।
নীলফামারী ৪ আসনের এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, কিশোরগঞ্জ টেংগনমারী ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরন কাজে অনিয়ম হচ্ছে এলাকাবাসীর  কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি সড়কটি নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে যাই। কিন্তু সড়ক নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে সড়কে না পেয়ে তাকে ফোন করে সড়কের নির্মাণ কাজের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। এবং সড়কের নির্মাণ কাজে যাতে কোন ধরনের অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে তাকে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজে কিছু অনিয়ম রয়েছে এ বিষয়ে আমি নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলব।

ঠিকাদার মোস্তাফা কামাল রোকনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সড়কের নির্মান কাজে খোয়া তৈরীর  জন্য ৭ লাখ ইট আনা হয়েছে। ভাটা থেকে ইট আনার সময় কিছু নি¤œমানের ইট আসতে পারে । তাছাড়া সড়ক নির্মাণের তিন বছর সময় পর্যন্ত ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,সড়কের নির্মাণ কাজের সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য টেংগনমারী বাজারে গিয়েছিলাম কিন্তু ঠিক সেই সময় হঠাৎ এমপি আসায় আমাকে সড়কে উপস্থিত না পেয়ে ফোন দিয়েছে।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ টেংগনমারী সড়ক প্রশস্তকরন কাজে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়। সড়ক নির্মাণ কাজে নি¤œমানের খোয়া ব্যবহার করার কোন সুযোগ নেই।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7961581929628049000

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item